একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে যাচ্ছে। বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়ার জন্য দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ দায়ী। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল ইমাম বলেন, ২০১৯ সালের মার্চের শেষে খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংকে টাকা নেই। ব্যবসায়ীরা ঋণ পাচ্ছেন না। গত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগ ২৩ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে ১৬ হাজার কোটি টাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মুলধন ঘাটতি পূরণে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের হার কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়বে।
ফখরুল ইমাম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৭৮ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাস্তবায়নের হার ছিল উন্নয়ন ৬৩ শতাংশ ও অনুন্নয়ন ৭৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ তে ছিল ৭৬ শতাংশ। তবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৮২ শতাংশ। বাজেট বাস্তবায়নের কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা হলে প্রস্তাবিত বাজেটটি পুরো বাস্তবায়নের হার বাড়তো।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, বিদ্যুতের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১০ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। ২০৪১ সালে আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন ৬০ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ২১ হাজার মেগাওয়াট। আর ব্যবহার করছি ১২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। বাকি ৯ হাজার মেগাওয়াট গ্রিডে দেওয়া যাচ্ছে না। বাজেটের কাঠামো এখনো পুরোনো, তাই বাজেট বাস্তবায়নে এই ব্যর্থতা। দেশের অর্থনীতি যদি চাঙ্গা থাকে, তাহলে ঋণ খেলাপিরা কেন টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। কৃষি মন্ত্রণালয়কে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল তা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। এবারের অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বিদ্যুতও জ্বালানী মন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সবাই ব্যবসায়ী। এবার যারা সামনে আছেন, তারা সবাই ব্যবসায়ী। এরা ব্যক্তি খাত না গোষ্ঠী খাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন