বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচীর আওতায় এ পর্যন্ত ৩৫৩ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং শিগগিরই আরো ৬ জনকে প্রদান করা হবে। এদের অধিকাংশই শিশু। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রমের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-বøকের অডিটোরিয়ামে ১১৭ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট’-এর বরাদ্দপত্র নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হয়। এর আগে ৩২৪ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মাঝে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বা যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল। সবমিলিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস গ্রহীতার সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ৪৪১-এ উন্নীত হলো। এরবাইরে ইতোমধ্যে ৩৫ জন নিজ খরচে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন করেছেন। গতকাল ‘কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট’-এর বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ সচিব জুয়েনা আজিজ। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কনক কান্তি বড়–য়া। বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম-এর কর্মসূচী পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়াদার এবং নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার এবিএম আব্দুল হান্নান। জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছাতেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মহতী কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নও বর্তমান সরকারের অবদান। এই কর্মসূচীর কারণে শিশুসহ শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা উপকৃত হচ্ছে।
কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টাতেই দেশের এত উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের ১০ লাখ টাকার কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। ডিভাইস এর সাথে সাথে এ সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবাও বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়েছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়াদার বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট-এর কারণে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা কানে শুনতে পাচ্ছেন, কথা বলতে পারছেন, তারা বোঝা না হয়ে সমাজের মূল ¯্রােত ধারায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন