শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটা সৈকত রক্ষা কাজ চলছে খুড়িয়ে

মান নিয়ে প্রশ্ন?

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৯, ২:৩১ পিএম

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভাঙ্গনরোধ প্রকল্পের কাজ। পাউবো’র অর্থায়নে জিও ব্যাগে মেরিন ড্রাইভ রাস্তা বা সুরক্ষা বাধ নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত একমাস আগে । জিও ব্যাগ উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বি.জে. জিও টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানীকে দেয়া হয়েছে এ কাজের ঠিকাদারি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির এসব কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় শম্ভুক গতিতে চলছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। চলমান বর্ষা মৌসুম চললেও কাজের ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পর্যটন নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা ।

পাউবো কলাপাড়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,সমুদ্রে সৈকত ভাঙ্গনরোধে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫৩০ মিটার দৈর্ঘ্য মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণের জন্য ১৫এপ্রিল কার্য্যাদেশ দেওয়া হয় বি.জে. জিও টেক্রটাইল লিমিটেডকে। যা চলতি সালের ৩০ জুন শেষ হবার কথা রয়েছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকার পিকনিক স্পট থেকে শুরু কুয়াকাটা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জিও বাগে এ মেরিন ড্রাইভ রাস্তা তৈরীর কাজ চলছে। এ রাস্তায় ৫৬টি জিও ব্যাগে টিউব ও ৮হাজার পিচ জিও বস্তা দিয়ে নির্মান করা হবে। প্রতিটি জিও টিউবের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিটার এবং প্রস্থ হবে ৪ মিটার। প্রতিটি জিও বস্তার সাইজ হবে পিপি সাইজ। প্রতিটি জিও টিউবের রিভার সাইডে দুটি করে জিও বস্তা ২.৭৪ মিটার প্রস্থ এবং কান্টি সাইডে দুটি করে জিও বস্তা ২.৭৪ মিটার উচু ব্যাগ দিয়ে এ মেরিন ড্রাইভ রাস্তা নির্মান করতে হবে এমন নির্দেশনা কোটেশনে রয়েছে।

সরেজমিনে স্থানীয়রা জানিয়েছে,ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করা থেকে এ পর্যন্ত ৫৬ টি জিও টিউবের মধ্যে ৩টি জিও টিউব তৈরী করতে পেরেছে। ৮ হাজার জিও ব্যাগের মধ্যে ১হাজার জিও বস্তা তৈরী করেছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর তোফায়েল আহম্মেদ তপু বলেন,এ পর্যন্ত যে কাজ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাতে ১০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।
সৈকত সুরক্ষার কাজে ধীরগতি এমন অভিযোগ করে কুয়াকাটা ইনভেস্টর ফেরামের মুখপাত্র হাসনুল ইকবাল বলেস. দ্রত এ কাজ শেষ না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চরম হুমকীর মুখে পড়বে কুয়াকাটা সৈকত।

কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের পরিচালক জনি আলমগীর জানিয়েছে, পূর্ব অভিজ্ঞতাহীন অদক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকার কথা জানান তিনি।
এসব বিষয়ে নিয়ে কথা হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বি.জে. জিও টেক্সটাইল লিমিটেড কোম্পানীর প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ’র সাথে। তিনি ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান দুবলার চরের পাশাপাশি দেশের একাধিক ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় কাজ করছেন। এ কাজ করার দক্ষ কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তাদের প্রতিষ্ঠান এই কাজের দক্ষতা রয়েছে, তাই পাউবো তাদের এ কাজে বাধ্য করেছে। তবে নির্ধারিত সময় চলতি অর্থবছরের ৩০ জুনের আগে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ ।

প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের উপ-সহকারি প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুল রহমান বলেন,্ওই প্রকল্প এলাকায় কাজের সকল উপকরণ মজুদ রয়েছে। এতেই কাজের অগ্রগতি ৩০ ভাগ। কিন্তু দৃশ্যমান কাজ ১০ ভাগ শেষ হয়েছে । বর্তমানে দিন রাত কাজ চলবে । নির্ধারিত সময়ে বর্ষার আগে এ কাজ সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে প্রতিনিয়ত তদারকিসহ তাগিদ দেয়া হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন