টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পোস্ট অফিসের বেহাল দশা। উন্নয়নের কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে চিঠি আদান প্রদান কমলেও বেড়েছে পোস্ট অফিসের সেবার পরিধি। কিন্তু বাড়েনি জনবল, অবকাঠামোর উন্নয়ন। পুরোনো সেই পদ্ধতিতেই চলছে ভ‚ঞাপুর পোস্ট অফিস। বর্তমান ডিজিটাল যুগেও কম্পিউটার সিস্টেমের কোন ছোঁয়া লাগেনি এই পোস্ট অফিসে। নেই কোন নিরাপত্তা ক্যামেরা। দীর্ঘ আট মাস ধরে বিদ্যুৎ বিহীন অফিসটি। শুধু মাত্র পোস্ট মাস্টারের টেবিলে একটি সোলারের টেবিল ফ্যান, একটি লাইট জ্বলে। বাকী সব জায়গায় দিনের বেলাতেও অন্ধকার। অপর দিকে চারটি ফ্যানের মধ্যে তিনটিই নষ্ট। আর্থিক কর্মকান্ড বাড়লেও জনবল ও অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। বিল্ডিংয়ের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। আর্থিক লেনদেন থাকার কারনে মানুষের ভিড়ে আরো গরম বেড়ে যায়। তখন অফিসে টিকে থাকাই মুসকিল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া দরজা জানালা ভাঙা। কোন রকমে কলাবসেবল মুল গেইট আটকিয়ে রাখা হয়। বাহিরের পোস্ট বক্সের ডাকনা ভাঙা অনায়েসে যে কেউ সেখান থেকে গুরুত্বপুর্ণ চিঠি নিয়ে যেতে পারবে।”
এ ব্যাপারে পোস্ট মাস্টার সাদিয়া সুলতানা বলেন, “নির্মাণ ত্রæটির কারনে বিল্ডিংয়ের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে, সমস্ত ওয়ারিং নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ভয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। এসব বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
নাইট গার্ড শাহাদত হোসেন বলেন,“অফিসের তিনটি গেটের মধ্যে একটি গেটের তালা-চাবি আছে বাকী দুটি থাকে অরক্ষিত। এছাড়া দুর্বল দরজা জানালার কারণে যে কোন সময় চুরিসহ বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ দিকে পোস্ট অফিসের দুরাবস্থা দুরীকরনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনেরদাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন