স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার-এর স্বাস্থ্যসেবা মাস’ (এমএইচএম-২০১৬) গতকাল শেষ হয়েছে। মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিল (এমএইচটিসি) মাসব্যাপী এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের আয়োজন করে। জিডি এ্যাসিস্ট লিমিটেডের সহযোগিতায় এই কার্যক্রমের মাধ্যমে এমএইচটিসি বাংলাদেশে মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ারের উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা আনার লক্ষ্য অর্জন করে। ‘মালয়েশিয়া লাভস ইউ’ থিম নিয়ে ‘এমএইচএম ২০১৬’ মাসব্যাপি ৮টি প্রধান কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এতে রয়েছে ফান রান, ক্যারাভ্যান অ্যাক্টিভেশন, ক্লাব অ্যাক্টিভেশন, মেডিকেল কনসাল্টেশন, ডক্টরস’ এনগেজমেন্ট এবং অটিজম নিয়ে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ‘মাই চাইল্ড মাই সুপারহিরো’।
বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে যাওয়া ভ্রমণকারীরা মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার-এর সর্ববৃহৎ বাজারের প্রতিনিধিত্ব করছে। ২০১৫ সালে মোট ১৪,৫০০ এরও বেশি রোগী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা, সাধারণ সার্জারি, গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি, হৃদরোগ, ফার্টিলিটি এবং ইউরোলোজিসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহাম্মদ তায়িব বলেন, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা মাসের এ ধরনের বিভিন্ন আয়োজন করে আমরা এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য সেবাখাতে অবদান রাখতে চাই। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে পারবো।
মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার-এর লক্ষ্য হচ্ছে এমএইচএম-২০১৬ এর সফলতার ওপর ভিত্তি করে বছরব্যাপি স্বাস্থ্যসেবামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করার মাধ্যমে ঢাকায় এ ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রæয়ারির প্রথম দিকে মেডিকেল কনসালটেশন এবং বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়া হেলথ কেয়ারের আরও লক্ষ্য হচ্ছে তার অংশীদারসমূহ যেমন- কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, টেলিকম প্রতিষ্ঠান, প্রসিদ্ধ স্বাস্থ্যসেবা এবং লাইফ স্টাইল ক্লাবগুলোর কাছে আরও অধিক স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ তুলে ধরা।
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল ট্রাভেল জার্নাল (আইএমটিজে) অ্যাওয়ার্ড পেয়ে মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার শীর্ষ স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ট্রাভেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘হেলথ এন্ড মেডিকেল ট্যুরিজম: ডেস্টিনেশন অব দি ইয়ার’ দ্বিতীয়বারের মতো অর্জন করে মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মালয়েশিয়ার প্রাইভেট হাসপাতালগুলো অর্ধেকেরও বেশি পুরস্কার লাভ করে যার মধ্যে রয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল অব দি ইয়ার-সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল ক্লিনিক অব দি ইয়ার-ইম্পেরিয়াল ডেন্টাল স্পেশ্যালিস্ট সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কসমেটিক সার্জারি ক্লিনিক অব দি ইয়ার-বিভারলি উইলশেয়ার মেডিকেল সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলিটি ক্লিনিক অব দি ইয়ার-টিএমসি ফার্টিলিটি সেন্টার এবং বেস্ট মার্কেটিং ইনিশিয়েটিভ-গেøনেগলিস কুয়ালালামপুর।
এমএইচটিসি এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শেরেনে আজলি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমাদের অনেক অফার রয়েছে। আইএমটিজে থেকে প্রাপ্ত এই অ্যাওয়ার্ডগুলো আমাদের অত্যন্ত সুলভ, সাশ্রয়ী এবং বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ। রোগীর নিরাপত্তা এবং যতœ নিশ্চিত করতে রয়েছে সরকারি কঠোর নীতিমালা। আমরা গর্বিত যে, বিশ্ব এখন উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করছে এবং মালয়েশিয়া তা দিতে সক্ষম।
অরল্যান্ডো, ফ্লোরিডা (ইউএসএ)-তে অনুষ্ঠিত অষ্টম বার্ষিক মেডিকেল ট্যুরিজম এন্ড গেøাবাল হেল্থ কেয়ার কংগ্রেসে দেশটি ‘২০১৫ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মেডিকেল ট্রাভেল ডেস্টিনেশন অব দি ইয়ার’ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০১৫ সালে ৮ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ইউনিক আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা মালয়েশিয়ায় এসে স্বাস্থ্যসেবা গ্রাহণ করেন। এতে আরএম ৯০০ মিলিয়নেরও বেশি রাজস্ব অর্জিত হয়। ফেব্রæয়ারি ২০১৬ তে শুরু হওয়া ‘মালয়েশিয়া লাভস ইউ’ ক্যাম্পেইনের সাথে যুক্ত হয়ে এই এমএইচএম-২০১৬ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবাগুলোকে তুলে ধরা। এই ক্যাম্পেইনে একটি অনলাইন প্রতিযোগিতা ছিল। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা মালয়েশিয়ায় ৫ দিন ৪ রাত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পান। জিডি অ্যাসিস্টের চেয়ারম্যান নাসির এ চৌধুরী, পরিচালক ফারজানা চৌধুরী এসিআইআই (ইউকে), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ নিবিড়ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন এবং বিডি অ্যাসিস্ট স্বীকৃত প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে মালয়েশিয়া হেল্থ কেয়ার ট্রাভেল-এর সাথে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন