মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গোপনীয় ভাবে শুধুমাত্র পরিবারেরসদস্য ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে তার দাফনের পুরোটা সময় কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছিল। মুরসির আইজীবীদের বরাত দিয়ে খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়।
গত সোমবার আদালতে একটি মামলার শুনানি চলাকালে কারাবন্দি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় পূর্ব কায়রোর নাসের সিটিতে মুরসিকে দাফন করা হয়। সোমবার আদালতে মামলার শুনানির সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রন্ত হয়ে-মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মুরসি।
সামাজিক মাধ্যমে ফাস হওয়া একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাফন অনুষ্ঠানে মুরসির ভাই, ছেলে, স্ত্রী এবং দুজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তবে আনাদুলো এজেন্সি এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
সোমবার রয়টার্স মুরসির ছেলে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ মুরসির বরাত দিয়ে জানিয়ে ছিলো, পরিবারের পক্ষ থেকে মুরসির নিজ শহর সারকিয়া প্রদেশে তার দাফনের আবেদন জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে মিসরিয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ভোরে মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছ, বেনিন টিউমারের সমস্যায় ভুগছিলেন মুরসি। এজন্য নিয়মিত চিকিৎসা দেয়া হতো। কিন্তু তার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ মুরসি মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষনেতা। ২০১৩ সালে দেশটির ইতিহাসে প্রথম তিনি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর তাকে সরিয়ে তখনকার সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ক্ষমতার দখল নেন। পরে তিনি নির্বাচন করে তিনি নিজেও প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতার দখল রেখেছেন। মুরসিকে সরানোর পর সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার ব্রাদারহুড নেতাকর্মীর সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১২ সালে মুরসিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গ্রেফতারের পর থেকেই মুরসি কারাগারে ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন