শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রামে ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয় নগরে বিকিরন বড়ুয়া নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাকে ৬ মাসের কারাদÐসহ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় আয়েশা মেডিকো নামে এক ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং এর মালিক ফরিদুল আলমকে ৩ মাসের কারাদÐ দেয়া হয়। পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি এবং র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান।

জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে কথিত ডাক্তার বিকিরন বড়ুয়াকে ধরার জন্য তার কাছে রোগী সেজে এক র‌্যাব সদস্যের মাধ্যমে সিরিয়াল নেয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টায় চেম্বারে আসতে বলা হয় তাকে। দক্ষিণ পতেঙ্গার বিজয়নগরের আয়েশা মেডিকোতে তার চেম্বারে দেখা যায় বাইরে অসংখ্য রোগীর ভিড়। নিজেকে ডায়াবেটিস, মেডিসিন ও শিশু রোগের চিকিৎসক দাবি করা বিকিরনের চেম্বারের বাইরে বেশ কয়েকজন অন্তঃসত্ত¡া মহিলা ও কয়েকটি শিশুকেও দেখতে পাওয়া যায়।

প্রথমে র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি মিমতানূর রোগী সেজে তার সঙ্গে কথা বলেন এবং একপর্যায়ে তার ডিগ্রি সম্পর্কে জানতে চান। বিকিরন তার সার্টিফিকেট ঢাকায় রয়েছে বলে উল্লেখ করে তা আনার জন্য দুইদিন সময় চান। এ সময় বাইরে অপেক্ষমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি তার চেম্বারে ঢোকেন এবং তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জানতে চান। তিনি তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৯১১১৩ বলে জানান। ওয়েসাইটে সার্চ করে এ নম্বরের বিপরীতে কোনো চিকিৎসকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এমনকি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত এমবিবিএস ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯০০০০ পর্যন্ত তালিকাবদ্ধ।
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ নামে কোনো ডাক্তার সেখানে কাজ করেন না বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি ঢাকায় মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে যে আয়েশা মেডিকো ফার্মেসিতে তিনি চেম্বার করতেন সে ফার্মেসিকে লাইসেন্স দেখাতে বললে লাইসেন্স নেই বলে জানান। তার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে সে এবং বিকিরন বড়–য়া যৌথভাবে ভুয়া চিকিৎসা ব্যবসা করার কাহিনী বেরিয়ে আসে। ফার্মেসিতে তল্লাশি চালিয়ে ৪ বস্তা অননুমোদিত ও অবৈধ, ব্যবহার নিষিদ্ধ ওষুধ পাওয়া যায়। এ সময় ফার্মেসির মালিক ফরিদুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদÐ দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন