পোল্ট্রি ফিডের অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল ‘ভূট্টা’ আমদানিতে অগ্রিম আয়কর এবং ‘সয়াবিন অয়েল কেক’ এর উপর থেকে রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার না হওয়ায় এবং সব ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুনভাবে আগাম কর (এ টি) আরোপ হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন পোল্ট্রি শিল্পের মালিকরা।
বুধবার (১৯ জুন) মহাখালিতে অবস্থিত প্যারাগন হাউসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি নেতারা বলেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রফতানি বাজারে প্রবেশের যে স্বপ্ন তাঁরা দেখছিলেন প্রস্তাবিত বাজেটে তা পূরণ হয়নি। ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব) এবং ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফিআব সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, সয়াবিন অয়েল কেক এর উপর আরোপিত পাঁচ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি; কটন সীড ও পাম নাটসের উপর থেকে পাঁচ শতাংশ সিডি ও ৫ শতাংশ এটিভি; এবং ভূট্টার ওপর থেকে পাঁচ শতাংশ এআইটি প্রত্যাহারই ছিল এবারের অন্যতম দাবি। আশা করা হয়েছিল এ দাবি পূরণ হলে পোল্ট্রি ফিড এবং সেই সাথে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, সয়াবিন অয়েল কেক আমদানিতে আরডি এবং ভূট্টা আমদানিতে এআইটি বহাল রাখা হয়েছে; পাম নাটস বা কারনেল এবং কটন সীডের ওপর থেকে কাস্টমস শুল্ক তুলে নিয়ে নতুন করে পাঁচ শতাংশ হারে রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করা হয়েছে।
এহতেশাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ফিডের উপকরণ হিসেবে যে তিনটি উপকরণে কর ও শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর সাথে ফিড ইন্ডাষ্ট্রি’র কোন সম্পর্ক নেই। ফলে কার্যত তেমন কোন সুফল আসবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন