শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়

আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম | আপডেট : ১:১০ এএম, ২০ জুন, ২০১৯

ম্যাচের দৃশ্যপট প্রতিনিয়তই বদলেছে। কখনও দক্ষিন আফ্রিকার দিকে ম্যাচ হেলে পড়েছে, কখনও নিউজিণ্যান্ডের দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসনের অপরাজিত সেঞ্চুরি ও গ্রান্ডহোমের অর্ধশতে ভর করে ৪ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে কিউইরা। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ল প্রোটিয়ারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিন আফ্রিকা: ২৪১/৬ (৪৯ ওভার) (ডি কক ৫, আমলা ৫৫, প্লেসিস ২৩, মারক্রাম ৩৮, ডুসেন ৬৭*, মিলার ৩৬, ফেলকায়ো ০, মরিস ৬*; হেনরি ৩৪/০, বোল্ট ৬৩/১, ফার্গুসন ৫৯/৩, গ্রান্ডহোম ৩৩/১, স্যান্টনার ৪৫/১)

নিউজিল্যান্ড: ২৪২/৬ (৪৮.৩ ওভার) (গাপটিল ৩৫, মুনরো ৯, উইলিয়ামসন ১০৩*, টেইলর ১, লাথাম ১, নিসাম ২৩, গ্রান্ডহোম ৬০, স্যান্টনার ২*; রাবাদা ৪২/১, এনগিডি ৪৭/১, মরিস ৪৯/৩, ফেলকায়ো ৬২/১, তাহির ৩৩/০)

ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন

নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছেন উইলিয়ামসন-গ্রান্ডহোম

উইলিয়ামসন-গ্রান্ডহোম জুটিতে ম্যাচে এগিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। স্রোতের বিপরীতে শুরু থেকে খেলে যাওয়া উইলিয়ামসনকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন গ্রান্ডহোম। এই জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। উইলিয়ামসন ৭৭ রানে ও গ্রান্ডহোম ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন।

৪১ ওভার শেষে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯০ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৫২ রান।

ম্যাচের ভারসাম্য ফেরালেন মরিস

নিসামকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিনত করে ম্যাচের ভারসাম্য বজায় রাখলেন মরিস। ২৩ রান করা নিসামকে আমলার তালুবন্দী করে বিদায় করেন এই পেসার। উইলিয়ামসন ৬৩ রানে ও গ্রান্ডহোম ৮ রানে অপরাজিত আছেন।

৩৩ ওভার শেষে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৫ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৯৭ রান।

নিশামকে নিয়ে লড়ছেন উইলিয়ামসন

টানা উইকেট পতনে ছোট লক্ষ্যও বড় হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের সামনে। দলের ধ্বস কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কেন উইলিয়ামসন। ফিফটি তুলে কিউই দলপতি অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে। তাকে সঙ্গ দিতে আসা জিমি নিশামের ঝুলিতে ১৯ রান।

স্কোর : ২৯ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১২০।

গাপটিল-টেইলরকে হারিয়ে চাপে নিউজিল্যান্ড

সেট ব্যাটসম্যান গাপটিলের দূর্ভাগ্যজন বিদায়ের শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নিউজিল্যান্ড শিবিরে আরেক আঘাত। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই রস টেইলরকে ফিরিয়ে কিউইদের বিপদ আরো বাড়ান ক্রিস মরিস।

পরের ওভারে ফিরেই এই মরিসই তুলে নেন টম লাথামকেও!

১৮.১ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮০। আশার বাতি জ্বালিয়ে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ব্যাট করছেন ৩২ রানে।

দূর্ভাগা গাপটিল ফিরলেন হিট উইকেটে!

লক্ষ্যটা খুব বড় নয়। তার পরও শুরুতেই উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডকে টেনে নিচ্ছিলেন মার্টিন গাপটিল ও কেন উেইলিয়ামসন। তবে ফেলুকাওয়ের বুক সমান উঁচুতে আসা একটি বল সজোরে বাউন্ডারি ছাড়া করার লোভে এক চক্কর খেয়ে উইকেটেই আছড়ে পড়েন গাপটিল! হিট উইকেটে ৩৫ রানে থামে এই কিউই ওপেনারের লড়াই।

স্কোর : ১৫ ওভার শেষে ২ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ 

মুনরোকে ফিরিয়ে রাবাদার দারুণ শুরু

নিউজিল্যান্ডের মারকুটে ওপেনার কলিন মুনরোকে ৯ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন রাবাদা। ১৪৬ কি.মি. গতির বলে নিজেই ক্যাচ ধরে ফিরিয়ে দেন এই পেসার। গাপটিল ৩ রানে ও উইলিয়ামসন ১ রানে অপরাজিত আছেন।

৩ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৫ রান।

২৪১ রানে থামল দক্ষিণ আফ্রিকা

ডুসেনের ৬৪ বলে ৬৭ রানের হার না মানা ইনিংসের সুবাদে ২৪১ রান করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া দলে আমলাও পেয়েছেন অর্ধশত রানের দেখা। তবে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলাটা হয়ে গেছে কঠিন। ম্যাচ শেষে ডুসেন অবশ্য বলেছেন, অন্য পিচের মতো এটা ৩০০ রানের পিচ না। বরং এটি একটি ২৫০-২৬০ রানের পিচ। উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা এই স্কোর ডিফেন্ড করতে পারবো।

ইনিংসের শেষ তিন ওভারে প্রোটিয়ারা রান তুলেছে ২৫। অন্যদিকে উইকেট হারিয়েছে একটি। ফার্গুসনের বলে শূণ্য রানেই ফিরে যান ফেলকায়ো। কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের ভালোভাবেই বেঁধে রেখেছে কিউই বোলাররা। এখন দেখা যাক, প্রোটিয়া বোলাররা কেমন করে? দক্ষিন আফ্রিকার জয়-পরাজয় এখন নির্ভর করছে তাদের ওপরই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিন আফ্রিকা: ২৪১/৬ (৪৯ ওভার) (ডি কক ৫, আমলা ৫৫, প্লেসিস ২৩, মারক্রাম ৩৮, ডুসেন ৬৭*, মিলার ৩৬, ফেলকায়ো ০, মরিস ৬*; হেনরি ৩৪/০, বোল্ট ৬৩/১, ফার্গুসন ৫৯/৩, গ্রান্ডহোম ৩৩/১, স্যান্টনার ৪৫/১)

মিলারকে ফেরালেন ফার্গুসন

জ্বলে ওঠার আগেই মিলারকে ফিরিয়ে দিলেন ফার্গুসন। ৩৭ বলে ৩৬ করে বোল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ডুসেন ৪৪ ও ফেলকায়ো ০ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২১০ রান।

ডুসেন-মিলার দুইশ পেরিয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার মন্থর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ডুসেন-মিলার জুটি। ৪৫তম ওভারে দলীয় দুইশ পেরিয়েছে দলটি। মিলার ৩৬ রানে ও ডুসেন ৪১ রানে অপরাজিত আছেন।

৪৪.৪ ওভারে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৮ রান।

টিকতে পারলেন না মারক্রামও

আমলার বিদায়ের পর টিকতে পারলেন না মারক্রামও। গ্রান্ডডিহোমের বলে মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৮ রানে ফিরে যান মারক্রাম। মিলার ০ রানে ও ডুসেন ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান।

আমলাকে ফেরালেন স্যান্টনার

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আমলা শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। কিন্তু কিউই বোলার স্যান্টনারের ঘূর্ণি বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫৫ রান করে ফিরেছেন তিনি। মারক্রাম ২৬ ও ডুসেন ১ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১১২ রান।

আমলার ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে প্রোটিয়ারা

অধিনায়ক ডু প্লেসিসের বিদায়ের পর মারক্রামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন আমলা। আমলা ব্যক্তিগত ৩৮তম অর্ধশত রান পূর্ণ করে ব্যাটিং করছেন। তিনি ৫৪ রানে ও মারক্রাম ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। ইনিংসের ২৬তম ওভারে দলীয় শতরান পেরিয়েছে প্রোটিয়ারা।

২৬ ওভারে সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান।

আট হাজারি ক্লাবে আমলা

দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে আট হাজার রান পূর্ণ করলেন হাশিম আমলা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ রানে খেলার সময়ই তিনি ক্যারিয়ারে আটহাজার রান ছুঁয়ে যান। প্রোটিয়াদের মধ্যে এর আগে আট হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেছেন জ্যাক ক্যালিস, এবিডি ভিলিয়ার্স ও হার্শেল গিবস। ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম আট হাজারি রানে এলিট ক্লাবেও প্রবেশ করেছেন এই ডানহাতি ওপেনার। ২০০৮ সালে অভিষেক হওয়া আমলা ১৭৬ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। এক ইনিংস কম খেলে (১৭৫ ইনিংস) এই ক্লাবের শীর্ষে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

ডু প্লেসিসের বিদায়ে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

দলীয় ৯ রানে ডি কককে হারানোর পর ফর্মে থাকা ডু প্লেসিসকেও হারাল দক্ষিন আফ্রিকা। ফার্গুসনের ১৪৮ কি.মি. গতির ইয়র্কার বলে বোল্ড হয়ে ২৩ রানে ফিরে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক। আমলা ৩১ রানে ও মারক্রাম ০ রানে অপরাজিত আছেন।

১৪ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৯ রান।

শুরুতেই বোল্টের তোপ

টস হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই বোল্টের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ডি কককে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন এই পেসার। ফেরার আগে তিনি ৫ রান করেছেন। এই নিয়ে মোট পাঁচবার ডিকককে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আউট করলেন গতি ও সুইংয়ের রাজা বোল্ট। আমলা ৪ রানে ও ডু প্লেসিস ২ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২ ওভারে ১ উইকেটে ৬ রান।

টসে জিতে বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড

টসে জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দক্ষিন আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ও জসে জিতলে বোলিং নিতেন বলে জানান।

নিউজিল্যান্ড দলে কোন পরিবর্তন নেই। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে আছে একটি পরিবর্তন। লুঙ্গি এনগিডি আজ মূল একাদশে খেলছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: হাশিম আমলা, কুইন্টন ডিকক (উইকেটরক্ষক), এইডেন মারক্রাম, ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), র‌্যাসি ভ্যান দার ডুসেন, ডেভিড মিলার, আন্দিলে ফেলুকায়ো, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।

নিউজিল্যান্ড  একাদশ: মার্টিন গাপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, টম ল্যাথাম (উইরেটরক্ষক), জেমস নিসাম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।

আউটফিল্ড ভেজা থাকায় টসে দেরি

আউটফিল্ড ভেজা থাকায় দক্ষিন আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের টস করতে দেরি হচ্ছে। তবে মাঠে বৃষ্টি নেই। মাঠকর্মীরা মাঠ শুকানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আশার কথা, বার্মিংহামের আকাশে সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় বেলা চারটায় মাঠ পর্যবেক্ষন করে আম্পায়ররা জানান, সাড়ে চারটায় খেলা শুরু হবে। খেলাটি হবে ৪৯ ওভারের। প্রথম পাওয়ার প্লে ১-১০ ওভার ও দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে ১১-৩৯ ওভারে নির্ধারন করা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার টিকে থাকার ম্যাচে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড

বিশ্বকাপের ২৫তম ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচ মুখোমুখি দক্ষিন আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় বার্মিংহামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। চার ম্যাচ খেলে তিন জয় নিয়ে অপরাজিত নিউজিল্যান্ড। আজ এই ম্যাচ জিতলে কিউইরা চলে যাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে। অন্যদিকে এই ম্যাচে জয় তুলতে না পারলে টুর্নামেন্টের সেমির স্বপ্ন ভেঙে যাবে প্রোটিয়াদের।

পরিসংখ্যান:

একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের হিসেবে এগিয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বিশ্বকাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।

ওয়ানডেতে:

ম্যাচ: ৭০

দক্ষিন আফ্রিকা জয়ী: ৪১

নিউজিল্যান্ড জয়ী: ২৪

পরিত্যক্ত: ৫

বিশ্বকাপে:

ম্যাচ: ৭

নিউজিল্যান্ড জয়ী: ৫

দক্ষিন আফ্রিকা জয়ী: ২

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন