যশোরের মণিরামপুরে হানিফ পরিবহনের বাস চাপায় দুই মেধাবি স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খইতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জনই উপজেলার ধলিগাতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহতরা হলো ধলিগাতি গ্রামের খাইরুল বাশারের ছেলে আশিকুর রহমান এবং অপর জন পার্শ্ববর্তী জামলা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আল-আমিন।
নিহত আশিকুর রহমানের চাচা নজরুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আশিক ও আল-আমিন কোচিং শেষে বাইসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা গামী যাত্রীবাহি হানিফ পরিবহন দুই জনকেই চাপা দেয়। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান আশিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুত্বর আহত আল-আমিনকে যশোর ২শ’৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আশিকুরের মৃত্যু হয়েছে। আহত আল-আমিনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সদর হাসপাতালে পৌঁছানো মাত্রই আল-আমিনের মৃত্যু হয়।
এদিকে তাদের মৃত্যুর খবর শুনে সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ সহপাঠীসহ এলাকাবাসি পরিবহনের চালকসহ জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবিতে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর (সুন্দলপুর বাজার) কাঠের গুড়ি ফেলে ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের সাথে কথা বলে চালকসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠিয়ে নেয়।
প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার পাল বলেন, নিহত দুই জনই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্র ছিলো। আশিকুরের রোল ছিল এক এবং আল-আমিনের রোল ছিল দুই।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, সড়ক অবরোধে সাময়িক যানবাহন চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হয়। এসময় চালকসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ উঠিয়ে নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন