বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

সত্যালোকের সন্ধানে-ইসলামে আত্মিক ইবাদতের গুরুত্ব

প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী : (পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আত্মিক ইবাদতের তৃতীয় উপসর্গ হচ্ছে ‘তাওয়াক্কুল’ বা একান্তভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করা। এতদ সম্পর্কে
আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “আল্লাহর উপর ভরসা কর।” (সূরা আলে ইমরান : রুকু-১৭) আল- কোরআনের ভাষায় ‘তাওয়াক্কুল’ একটি বিশেষ শব্দ। সাধারণ লোক মনে করে যে, কোনো কাজের জন্য চেষ্টা-তদবির ও পরিশ্রম না করা এবং হাত-পা গুটিয়ে গৃহে অথবা হুজরাখানায় চুপচাপ বসে থাকার নাম তাওয়াক্কুল। তারা এরূপও মনে করে যে, আল্লাহপাক যা কিছু করার নিজেই করবেন, অর্থাৎ তকদিরে যা আছে তা হবেই। এর জন্য কার্যকারণ অন্বেষণ ও সচেতনতার প্রয়োজন নেই। মোটকথা, এই শ্রেণীর ধ্যান-ধারণা একদম বাতিল ও পরিত্যাজ্য। এটা অকর্মণ্যদের দৃষ্টিভঙ্গি মাত্র। ইসলামের সাথে এর কোনো সংশ্রবই নেই।
‘তাওয়াক্কুল’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ভরসা করা। ব্যবহারিক দিক থেকে আল্লাহর ওপর ভরসা করাকে তাওয়াক্কুল বলে। কিন্তু কোন কাজে ভরসা করা? কোন কাজ না করা, সম্বন্ধে কিছু সংখ্যক কপট সুফী আছে, যারা কাজ না করা, কার্যকরণ তালাশ না করা, কিংবা নিজে কাজ না করে অন্যের সহায়তায় বেঁচে থাকাকে তাওয়াক্কুল নামে অভিহিত করে। মূলত তাওয়াক্কুল হচ্ছে কোনো কাজকে কার্যকরণ ও উপায় উদ্ভাবন এবং নির্ধারণ করে দৃঢ়চিত্ততার সাথে নিষ্পন্ন করা এবং এই বিশ্বাস রাখা যে, এ কাজে যদি মঙ্গল নিহিত থাকে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহপাক সফলকাম করবেন।
যদি চেষ্টা-তদবির ও সাধনা ছাড়াই তাওয়াক্কুল সমাধা হতো, তাহলে মানুষকে বুঝানোর জন্য আল্লাহপাক নবী ও রাসূল প্রেরণ করতেন না এবং তাদেরকে রেসালতের তাবলীগের জন্য চেষ্টা-তদবির ও সাধনা করার নির্দেশ দিতেন না। এমনকি এ পথে তাদের জান-মাল কোরবানির হুকুমও প্রদান করতেন না। তাছাড়া বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনাইনের মাঠে অশ্বারোহী, তীরন্দাজ, বর্মধারী ও অস্ত্রধারীদের প্রয়োজন হতো না। রাসূলুল্লাহ (সা.) এক একটি কবিলার কাছে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত নিয়েও হাজির হতেন না।
আল্লাহর ওপর ভরসার মাঝে মুসলমানদের সফলতার চাবিকাঠি নিহিত রয়েছে।
তাদেরকে নির্দেশ করা হচ্ছে, “যদি যুদ্ধ কিংবা অন্য কোনো সমস্যাপূর্ণ কাজ সমুপস্থিত হয়, তাহলে এ সম্পর্কে মানুষের কাছে পরামর্শ গ্রহণ কর। পরামর্শের রায় যদি একটি কেন্দ্রবিন্দুতে এসে দাঁড়ায় তখন তা সমাধা করার জন্য দৃঢ়চিত্ত হও। দৃঢ়চিত্ততার পর অত্যন্ত সতর্কতা ও দ্রæততা সহকারে কাজটি নিষ্পন্ন করার প্রতি এগিয়ে যাও এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ যেন তিনি তোমার মনষ্কামনা পূর্ণ করেন। তবে এর পরিণাম যদি তোমার লক্ষ্যমাত্রার অনুক‚ল না হয়, তাহলে মনে করবে এতে আল্লাহপাকের হেকমত ও মুসলিহাত অবশ্যই আছে এবং কোনোক্রমেই নিরাশ ও হতোদ্যম হবে না। আর কাজের পরিণাম যদি তোমার অনুক‚লে পরিসাধিত হয় তাহলে মনে কর না যে, এটা তোমার চেষ্টা-যতেœর ফল; বরং এই মনে কর যে, আল্লাহপাক তোমার ওপর দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করেছেন এবং আল্লাহপাকই তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেছেন, তোমাকে সফলকাম করেছেন।”
আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “এবং কাজে (যুদ্ধে) তাদের পরামর্শ গ্রহণ কর। তারপর যদি দৃঢ় ইচ্ছা করে ফেল, তাহলে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ। অবশ্যই আল্লাহপাক ভরসাকারীদের ভালোবাসেন। যদি আল্লাহ তোমার সহায় হন, তাহলে কেউ তোমাকে পরাভূত করতে পারবে না। যদি আল্লাহ তোমায় ছেড়ে দেন, তাহলে এমন কে আছে যে আল্লাহর পরে তোমায় সাহায্য করবে? আর মুমিনের কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহর ওপরই ভরসা রাখা।” (সূরা আলে ইমরান : রুকু-১৭)
এই আয়াতে তাওয়াক্কুলের পূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও হাকিকত তুলে ধরা হয়েছে। তাওয়াক্কুল হাত-পা ছেড়ে নিশ্চেষ্ট বসে থাকা নয়; বরং পূর্ণ আন্তরিকতা ও সচেতনতার সাথে কাজ নিষ্পন্ন করার মাঝে পরিণাম আল্লাহর মর্জির ওপর ন্যস্ত করা এবং এই বিশ্বাস পোষণ করা যে, আল্লাহ আমাকে সাহায্য করলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। আর তিনি যদি ইচ্ছা না করেন, তাহলে শত চেষ্টাতেও কোনোরকম ফলোদয় হবে না। এটাই হচ্ছে তাওয়াক্কুল। এই পৃথিবীর সব মঙ্গল কাজেই কপট ও মোনাফেক শ্রেণীর লোকজনের সদন্ত পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। আল্লাহর ওপর ভরসাকারীর উচিত এসব হীনমন্যের পদক্ষেপের প্রতি লক্ষ্য না করা; বরং আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা যে, আল্লাহপাকই কাজ নিষ্পন্ন করবেন। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “আপনি সেই মোনাফেকদের কথা ছেড়ে দিন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন, আল্লাহপাকই উত্তম কার্য নির্বাহক।” (সূরা নিসা : রুকু-১১)
দেখা যায়, ইসলামের শুরুতে তিন বছর গোপনে ইসলাম প্রচারের পর প্রথম যখন প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ হয়, তখন বিরুদ্ধবাদীদের আধিক্য এবং দুশমনের শক্তি ও সামর্থ্যরে মোকাবিলায় নির্ভয় হওয়ার নির্দেশ করা হচ্ছে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে কাজ শুরু করার অনুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “আপনি স্বীয় আত্মীয়-পরিজনকে হুঁশিয়ার করুন, মুমিনদের মাঝে যারা আপনার অনুসরণ করে, তাদের জন্য সাহায্যের হস্ত সম্প্রসারিত করুন, আর সে যদি আপনার কথা না মানে, তাহলে বলে দিন যে, আমি তোমার কাজ থেকে পৃথক রয়েছি এবং সেই বিজয়ী করুণাময়ের ওপর ভরসা রাখুন, যিনি তোমায় দেখছেন এবং আপনি যখন ওঠেন (রাতে) তখন নামাজিদের মাঝে আপনার পদচারণা লক্ষ্য করুন। ” (সূরা শোয়ারা : রুকু-১১)
দুশমনদের নাগালের মধ্যে থেকেও রাসূলুল্লাহ (সা.) রাতে উঠে একাকী ইবাদত-গুজার মুসলমানদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করতেন। এই সাহসিকতা ও নির্ভয়তা ছিল তাওয়াক্কুলেরই ফলশ্রæতি। বিপদের দিনে এই শ্রেণীর তাওয়াক্কুল ও আল্লাহর ওপর ভরসার শিক্ষা মুসলমানদের দেয়া হয়েছে। খন্দকের যুদ্ধের সময় মোনাফেক এবং কাফেরদের বৈরীসুলভ আচরণ সত্তে¡ও নির্ভয়ে স্বীয় কাজে আত্মনিয়োগের হুকুম দেয়া হয়েছিল। সেখানে এই তাওয়াক্কুলের সবকটি শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “হে আল্লাহর নবী! আল্লাহকে ভয় করুন এবং কাফের ও মোনাফেকদের কথা মানবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও মহাবিজ্ঞানী। আর যা কিছু আপনার নিকট আপনার প্রতিপালকের তরফ হতে অহীর মাধ্যমে আগমন করে এর অনুকরণ করুন। অবশ্যই আল্লাহ আপনার কার্যবলী সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত এবং আল্লাহপাকই কার্য নির্বাহের ক্ষেত্রে যথেষ্ট।” (সূরা আহযাব : রুকু-১)
এই পৃথিবীর যাবতীয় কাজকর্ম, চিন্তা-ভাবনা, সাধারণত তিনটি দিককে অবলম্বন করেই প্রবাহিত হয়। প্রথমত : উপাদানভিত্তিক, দ্বিতীয়ত : আন্তরিক এবং তৃতীয়ত : কর্মভিত্তিক। উপাদানভিত্তিক কর্মকাÐ প্রতিটি উপাদানের যথার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে পরিসাধিত
হয়। এই পৃথিবীর সর্বত্রই উপাদানের ছড়াছড়ি। তাই উপাদানকে নিষ্ক্রিয় রেখে চলা যায় না এবং কোনো কিছুই সাধিত হয় না! তাছাড়া অন্তর প্রসূত কর্ম চেতনার মূল সূত্র বস্তু বা উপাদান হতে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র। মানুষের অন্তর আল্লাহর অনুগ্রহে যে লক্ষ্য প্রেরণার উদয় হয় তা বস্তু বা উপাদানকে নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু নিজে বস্তু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না। বস্তুত আন্তরিক শক্তির নিয়ন্ত্রণের ভিতর দিয়ে উপাদানের সুষ্ঠু ব্যবহারিক দিকটিকেই কর্ম প্রবাহ বলে ধরে নেয়া হয়।
সুতরাং মানুষ যে কোনো অবস্থানে এবং যে কোনো অবস্থাতেই থাকুক না কেন, সর্বত্রই তাকে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে। আর এই নির্ভরশীলতাই হচ্ছে প্রকৃত মুমিনের লক্ষণ। এই লক্ষণ যার মাঝে পাওয়া যাবে, সে-ই চিরঞ্জীব হয় আল্লাহর রং-এ। আল্লাহর রং হতে অধিক সুন্দর আর কিছুই নেই।
কাফেরদের ক্রমাগত যুদ্ধবিগ্রহ অত্যাসন্ন হওয়ার পর এই নির্দেশ প্রদান করা হয় যে, এখনো যদি এই লোকেরা সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তোমরাও সন্ধির আগ্রহ দেখাও এবং সন্ধি সূত্রে আবদ্ধ হও এবং খেয়াল কর না যে, এই মিথ্যা শপথকারীরা নাজানি কখন ধোঁকা দিয়ে বসে। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ, অবশ্যই তাদের প্রতারণা নিষ্ফল হয়ে যাবে। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “যদি তারা সন্ধির প্রতি ঝুঁকে, তাহলে তোমরাও ঝুঁকে পড় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ, তিনিই শ্রবণকারী এবং জ্ঞাতা; আর যদি তারা তোমাকে প্রতারণা দিতে চায়, তাহলে আল্লাহই তোমার জন্য যথেষ্ট; তিনিই স্বীয় সাহায্য দ্বারা এবং মুমিনীনদের সাহায্য দ্বারা তোমাকে সাহায্য দান করেছেন।” (সূরা আনফাল : রুকু-৮)
ইহুদিরা নিজেদের বিত্ত-বৈভব, ধন-সম্পদ ও জ্ঞান-গরিমার ওপর খুবই অহঙ্কারী ছিল। তাদের থেকে নির্ভয় হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং সত্যের সাহায্যে দাঁড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আল-কোরআনে। ইরশাদ হচ্ছে, “অবশ্যই এই কোরআন বাণী ইসরাইলদের অধিকাংশ ওই সকল কথা প্রকাশ করে দেয় যে সম্পর্কে তারা মতবিরোধে লিপ্ত। অবশ্যই এই কোরআন মুমিনীনদের জন্য হেদায়েত ও রহমত। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাদের মাঝে স্বীয় হুকুম দ্বারা ফায়সালা করে দেবেন। তিনিই বিজয়ী এবং প্রজ্ঞাশীল; সুতরাং আল্লাহর ওপরই ভরসা কর; নিঃসন্দেহে তুমি প্রকাশ্য সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছ।” (সূরা নহল : রুকু-৬)
ইসলামের তাবলিগ ও দাওয়াতের সংকটময় অবস্থায়ও আল্লাহর ওপর একান্ত ভরসা ও নির্ভরশীলতার সাথে কাজ করার হেদায়েত করা হয়েছে। এটা এমন একটি শক্তি যার পরাজয় নেই এবং এমন একটি অস্তিত্ব যার ধ্বংস নেই। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “এবং আমি তোমাকে (হে রাসূল!) সুসংবাদ দানকারী এবং ভীতি-প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি এবং এ কথাও ঘোষণা করে দাও যে, আমি আমার কাজের বিনিময়ে তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না, যে চায় সে যেন স্বীয় প্রতিপালকের দিকে গমনের পথ অবলম্বন করে এবং তোমাদের উচিত সেই চিরঞ্জীব সত্তার ওপর ভরসা করা, যার মৃত্যু নেই।” (সূরা ফুরকান : রুকু-৫)
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হেদায়েত করা হয়েছে যে, তুমি নিজের কাজ সম্পাদন করে যাও, বিরুদ্ধবাদীদের পরোয়া কর না এবং আল্লাহর ওপর ভরসা কর যিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ইচ্ছা-শক্তির অধিকারী নেই। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “যদি বিরুদ্ধবাদীরা কথা না মানে তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আল্লাহপাকই আমার জন্য যথেষ্ট; তিনি ছাড়া আর কোনই উপাস্য নেই, তার ওপরই আমি ভরসা করেছি, তিনিই আরশের অধিপতি।” (সূরা তাওবাহ : রুকু-১৬)
পারস্পরিক মতবিরোধের ক্ষেত্রেও আল্লাহর ফায়সালা অগ্রগণ্য। সে অবস্থায়ও তাঁরই ওপর ভরসা করতে হবে। আল-কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “এবং যে বিষয়ে তোমাদের মতবিরোধ আছে, এর ফায়সালার ভার আল্লাহর ওপরই ন্যস্ত। সে আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তার ওপরই ভরসা করছি এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।” (সূরা শুরা : রুকু-২)
রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আল্লাহপাকের আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনানোর হুকুম দেয়া হয়। একই সাথে এই সান্ত¦নাও প্রদান করা হয় যে, তাদের কুফুরি ও নাফরমানির কোনো পরোয়া করবে না এবং স্বীয় কামিয়াবীর জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ। আল-কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “এভাবেই আমি তোমাকে ওই কাওমের প্রতি প্রেরণ করেছি, যাদের পূর্বে বহু কাওম অতিবাহিত হয়ে গেছে যেন তুমি তাদেরকে ওই পয়গাম শুনিয়ে দাও, যা আমি তোমার ওপর অহী করেছি এবং অবিশ্বাসীরা দয়ালু আল্লাহর নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, সুতরাং বলে দাও, তিনিই আমার প্রতিপালক, তিনি ছাড়া কোনোই উপাস্য নেই, আমি তাঁরই ওপর ভরসা করছি এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করব।” (সূরা রায়াদ : রুকু-৪)
একজন মুসলমানের সর্বদা আল্লাহর রহমত এবং দয়ার ওপর ভরসা রাখা চাই। গোমরাহদেরকে হেদায়েতের দায়িত্ব আদায় করার পর, তাদের শত্রæতা ও বিরুদ্ধবাদিতার জন্য আন্তরিকভাবে শঙ্কা প্রকাশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আর কাফেরদেরকে এই আয়াত শুনিয়ে দেয়া দরকার। ইরশাদ হচ্ছে, “বলে দাও, তিনিই দয়ালু, আমরা তাঁরই ওপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই ওপর ভরসা করেছি, অতি সত্বরই তোমরা জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমগ্ন।” (সূরা মূলক : রুকু-২) অসমাপ্ত

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
nasir uddin (al attiya market, doha qatar) ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:২৯ এএম says : 0
Sobhanallah, it is universal truth and more time has been prove that, Alllah is the always winner and his rasul(sm) and momenen.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন