শাকিব খান হলেই সিনেমা চলে এ ধারণা একেবারেই ভুল।’ এমন মন্তব্য করলেন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং শাকিবকে নিয়ে সর্বাধিক সিনেমা নির্মাতা বদিউল আলম খোকন। তিনি বলেন, যদি তাই হতো তাহলে এবারের ঈদে শাকিবের দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। পাসওয়ার্ড এবং নোলক একইসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে। নোলক সিনেমাটি দর্শক সাড়া জাগাতে পারেনি। মূল কথা হচ্ছে, নায়ক নয় সিনেমা চালাতে হলে গল্প লাগবে এবং তা যতœ নিয়ে নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, সিনেমার বাজার খারাপ হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা প্রদর্শকরা। তারা শাকিব খান না হলে টাকা দিতে চান না। শাকিব খান না থাকলে প্রদর্শকরা টাকা দিতে চান না। একমাত্র শাকিব খানের সিনেমার মুক্তির আগে টাকা পাওয়া যায়। মুক্তির পর সিনেমাটি ব্যবসা করল কি করল নাÑতা মাথায় নেয়া হয় না। বদিউল আলম খোকনের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি রাগী এবং তোলপাড় নামে দুটি সিনেমা নির্মাণ করছেন। কোনোটিতেই শাকিব খান নেই। তিনি বলেন, গত বছরের ঈদে চারটি সিনেমা মুক্তি পায়। তার মধ্যে তিনটিই শাকিব খান অভিনীত। তার মধ্যে রয়েছে সুপার হিরো, চিটাগাইঙ্গা মাইয়া নোয়াখাইল্যা পোয়া এবং পাংকু জামাই। কিন্তু শাকিব খানের সিনেমাগুলোর ব্যবসাকে ছাপিয়ে গেছে পোড়ামন-২ সিনেমাটি। সিনেমাটির সব শিল্পীই ছিল প্রায় নবাগত, যাদের কেউ তেমন একটা চিনেন না। তাহলে আমরা শাকিব খানকে নিয়ে এতো মাথা ঘামাই কেন। নির্মাতাদের উচিত গল্প এবং নির্মাণের প্রতি নজর দেয়া ও আপোষহীন হওয়া। এক সময় এসব নতুনরাই হয়ে ওঠবেন শাকিব খানের মতো প্রি-রিলিজ গ্যারান্টি। শাকিব খান যখন নতুন ছিলেন তখনতো তিনি প্রি-রিলিজ নিশ্চয়তা ছিলেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন