সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সামাজিক নিরাপত্তাকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক আকারে সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৪৫ তম পরিষদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মিজ্ জুয়েনা আজিজ , বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব এ টি এম নাসির মিয়া ও পরিষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সমাজকল্যাণ পরিষদ ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ আইন, ২০১৯ পাসের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ডে নতুন গতির সঞ্চার হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দরিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিষ্ঠানটি জোরালো ভুমিকা রাখতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ হাতে দেশ পরিচালনা করছেন। আমরা তার ফল পাচ্ছি। দেশে এখন কোন মানুষ অনাহারে থাকেনা। আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। দেশের প্রতিটি অসহায় মানুষ সামাজিক নিরপাত্তা কর্মসূচীর মাধ্যমে সহায়তা পাবে। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ পরিষদের মাধ্যমে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মানবসম্পদ উন্নয়ন, দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা, সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও পূনর্বাসন, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে অনুদান, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন, নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন, প্রতিবন্ধী, গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থ সাহায্য ও স্পেশাল অলিম্পিকস এর অনুকুলে অনুদান বাবদ সর্বমোট ৫০ কোটি টাকার প্রদান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন