শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাম জোটের দাবি বাজেট সবচেয়ে বড় ঘাটতি ও ঋণনির্ভর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

বাম জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এবারের বাজেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতির, ঋণনির্ভর, ধনী-গরিব বৈষম্যের বাজেট। বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়াটাই গণতান্ত্রিক নয়, আমলাতান্ত্রিক। ফলে প্রতি বছরের ন্যায় আমলাদের বেতন-ভাতা এবং দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র এই সকল অনুৎপাদনশীল খাতে মোট বাজেটের ৪১ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। বিপরীতে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষিসহ সেবামূলক ও উৎপাদনশীল খাত প্রতিবারের ন্যায় এবারও উপেক্ষিত।

গতকাল সারা দেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ-সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঋণনির্ভর, ধনী-গরিব বৈষম্যের বিশাল ঘাটতির বাজেট সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা খাতসহ জনকল্যাণ ও উৎপাদনশীল খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে বাম জোটের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম, সাইফুল হক, মোশারফ হোসেন নান্নু, হামিদুল হক, মানস নন্দী, জুলহাস নাই বাবু, মমিনুল ইসলাম ও বাম জোটের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক খালেকুজ্জামান লিপন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এবারের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অথচ প্রতি বছর এ সুযোগ দেয়া হলেও কালো টাকার মালিকেরা সামান্যই সাড়া দেয়। গত ১০ বছরে মাত্র ১৪ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে যার ৯ হাজার কোটি টাকাই ২০০৭-৮ সালে হয়েছে। রাজস্ব আয়ের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা আদায় করা হবে কিভাবে তার নির্দেশনা নাই। বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর করারও কোনো নির্দেশনা নেই। গতবারের অভিজ্ঞতা বলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আদায় যোগ্য নয়। তাছাড়া ২০১০ সাল থেকে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন সক্ষমতাও ক্রমাগত কমছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন