শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

 সড়ক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের হাত হারানো ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় তার ছোট দুই ভাই মেহেদী হাসান হৃদয় ও আব্দুল্লাহ বাপ্পিকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে অভিযুক্ত বিআরটিসি পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও স্বজন পরিবহনকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রাজীবের পরিবারের পক্ষে আদালতে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিআরটিসি’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে গত ১৯ মে ক্ষতিপূরণসহ কয়েকটি বিষয়ে রুলের শুনানি শেষে ২৩ মে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে ওই দিন এ বিষয়ে রায় ঘোষণা না করে আদালত পুনরায় শুনানি করেন। কোনও ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলে সংশ্লিষ্ট যানের ইন্স্যুরেন্সকারী কোম্পানি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রায়ের জন্য গতকাল (২০ জুন) দিন ধার্য করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দু’টি বাসের রেষারেষিতে হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব। দুই বাসের চাপায় তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ৪ এপ্রিল রাজীবের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ দিন চিকিৎসার পর ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে সেখানে রাজীব মারা যান।

এরপর তার মৃত্যুর সংবাদ আদালতকে অবহিত করেন রিটকারী আইনজীবী। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। যার ধারাবাহিকতায় ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মাকে এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। রাজধানীর মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে। কখনও টিউশনি করে, কখনও বা পার্টটাইম কাজ করে নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং দুই ভাইকেও বানিয়েছেন কোরআনে হাফেজ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন