চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শুক্রবার দিনদুপুরে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই জন নিহত হয়েছে। সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের দাবি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাঁশখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর মেম্বার (৪৮) ও তার ভাই খলিলুর রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটটি অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। নিহতরা ওই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। জাফর মেম্বারের বিরুদ্ধে ৩৩টি ও খলিলুরের বিরুদ্ধে আটটি মামলা আছে বলে জানা গেছে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারি পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাশকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঁশখালীর সরল এলাকায় জাফর মেম্বারকে গ্রেফতারে অভিযান চালালে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে জাফর মেম্বার ও তার ভাই খলিলুরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সেখান থেকে আটটি অস্ত্র, বিপুল গুলি ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র মজুদ, খুন ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জাফরের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা এবং তার ভাই খলিলুরের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রয়েছে বলেও তথ্য দেন মো. মাশকুর রহমান। জাফর মেম্বার ও তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, সরল এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ঘটেছে। র্যাবের পক্ষ থেকে পুলিশের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। নিহত দুই জন থানার তালিকাভূক্ত অপরাধী বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত দুই জন নৌদস্যু দলের সদস্য। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে লুট ও ডাকাতির সাথে জড়িত তারা। নৌদস্যুরা গভীর সাগরে জেলেদের নৌকায় হানা দিয়ে তাদের মাছ লুট করে। জেলেদের জিম্মি করে মুুুুুক্তিপণও আদায় করে তারা। অনেক সময় তারা জেলেদের নৌকায় মাছ রাখার হিমাগারে আটকে এবং সাগরে নিক্ষেপ করে হত্যা করে।
উল্লেখ চলতি বছর বাঁশখালীত আরও তিনটি পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় তিনজন মারা যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন