স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরীর কন্যা জোবায়দা কাদের চৌধুরী মুসলিম লীগের কোনো সদস্য নন এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (হারিকেন প্রতীক) সাথে মুসলিম লীগ বিএমএল-এর একীভূত করতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সভাপতি মনোনীত হওয়ায় কামরুজ্জামান খানের বিস্ময় প্রকাশ সংক্রান্ত বিবৃতির প্রতিবাদ করেছেন জোবায়দা কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর কেন্দ্রীয় কমিটির মূলতবী সভায় তাকে গঠনতন্ত্রের ৫৭ ধারার খ উপধারা অনুযায়ী নির্বাহী সভাপতির শূন্যপদে অধিষ্ঠিত করা হয়। এরপর থেকে তিনি পদাধিকার বলে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন কমিশন অফিসে এ সংক্রান্ত সকল তথ্য জমা দেয়া আছে। এরপরও কামরুজ্জামান খানের জোবায়দা কাদের মুসলিম লীগের কোনো সদস্য নয় এমন মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির মূলতবী সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় গঠনতন্ত্রের ৫৬ ধারার ‘ঙ’ উপধারামতে কামরুজ্জামান খানকে নির্বাহী সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জোবায়দা কাদের চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তিনি সম্মতি একীভূত মুসলিম লীগের নবগঠিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভ্রান্তি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া গত ৩১ মে ২০১৬ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত কামরুজ্জামান খানের সভায় প্রতিবাদ করেছেন বিএমএল-এর সহ-সভাপতি এসআই চৌধুরী, আবদুর রশিদ খান চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাকসুদুর রহমান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আব্দুল সোবহান, ক্রীড়া সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সালাহউদ্দিন, শিক্ষা সম্পাদক মর্তুজা আলী চৌধুরী ও সহ সম্পাদক আনসার খান। প্রদত্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, কামরুজ্জামান খান কখনো বিএমএল-এর সভাপতি ছিলেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন