শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বৃটেনে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা শুরু হয়েছে

সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে বিসিএ নেতৃবৃন্দ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ৫:২০ পিএম

বৃটেনের ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর দক্ষ ও অদক্ষ স্টাফ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে নেয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি সেদেশের সরকারকে সুপারিশ করেছে। এই সংবাদটিকে পুঁজি করে বৃটেন এবং বাংলাদেশে, বিশেষ করে সিলেটে এখনই ‘লন্ডন যাওয়ার বিধিনিষেধ উঠে গেছে’ এমন সংবাদ প্রচার শুরু হয়েছে এবং দালালচক্র ইতিমধ্যে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সিলেটের জনগনকে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ। 

তারা বলছেন, এখনো তা সুপারিশের পর্যায়েই রয়েছে এবং তা কার্যকর হতে আরো সময় লাগবে। যদি কার্যকর হয় তাহলেও তা আগামী বছরের পর। ২০২০ সালে পাইলট প্রকল্প গ্রহন করা হতে পারে এবং তা সফল হলে আরো পরে সম্পূর্ণ আইন প্রণয়ন ও কার্যকর হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে বৃটেনের বাংলাদেশী কারি শিল্পে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার যৌক্তিকতা তারা ভালোভাবেই সরকারের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন। আর তাই ইউকে ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর এ ব্যাপারে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। এটি তাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল বলেও দাবি করেছেন তারা। আগে যেসব রেষ্টুরেন্ট টেকওয়ে সার্ভিস ছিল, তারা ওয়ার্কপারমিটের আওতায় ছিল না। বর্তমান সুপারিশে তাদের এর আওতাভুক্ত করতে বলা হয়েছে। বিসিএ মনে করছে এতে কারি ইন্ডাষ্ট্রির স্টাফ সংকট দুর হবে। বর্তমানে বৃটেনের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী কারি শিল্পের অবদান প্রায় ৪.২ বিলিয়ন ডলার। অইউরোপিয় দেশ থেকে স্টাফ নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলে এ সেক্টর থেকে সরকারকে আরো অনেক বেশি রাজস্ব দিতে পারবেন তারা। এ ব্যাপারে তারা ধারাবাহিকভাবে সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিএ নেতৃবৃন্দ বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে সরকারের সাথে আরো অনেক কাজ করতে হবে। আমরা তা করবো এবং যদি সরকার সুপারিশটি বাস্তবায়ন করে তাহলে আগামী বছর নাগাদ পাইলট প্রকল্প নেয়া হবে। এরপর সুফল পেলে তা পুরোপুরি কার্যকর করবে। অথচ লন্ডন এবং সিলেটে এখনই দালাল চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করেছে। তারা নানাভাবে ‘নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে’, ‘আবারো লোক পাঠানো শুরু হচ্ছে’ ইত্যাদি প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে যা মোটেও সত্য নয়। নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে সিলেটবাসীর সতর্কতা কামনা করে বলেন, দালাল ধরে ১০ লাখ ১৫ লাখ টাকা খরচ করে লন্ডন যাওয়া লাগবে না। যদি কারি শিল্পে বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে সঠিক খবর ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিসিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল ওলিখান, মিডল্যান্ড রিজিওনের প্রেসিডেন্ট সেলু মিয়া, দি সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমেদ ও সিলেট স্টেশন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জামাল ইয়াকুব প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন