শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ধর্মীয় ও জাতিসত্তা বিনষ্ট করতেই ইসলামবিরোধী শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের চক্রান্ত : খেলাফত আন্দোলন

প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশ ও জাতিসত্তাকে নিঃশব্দে হত্যা করার জন্য নাস্তিক-মুরতাদ ও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের প্রণীত এ জঘন্য শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও তদানুযায়ী ইসলামবিরোধী পাঠ্যসূচি প্রচলন করেছে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত বৈঠকে আলোচকগণ নতুন এ শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও পাঠ্যসূচির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ৯৫% মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষার পাঠ্যসূচিতে কালি দেবীর বন্ধনা, পাঠাবলির নিয়মকানুন এবং স্বঘোষিত নাস্তিক কুখ্যাত হুমায়ুন আজাদের কুরআন-হাদিস শিক্ষার বিরুদ্ধে বিষোদগার করার বিষাক্ত কবিতাসহ যত সব আজেবাজে গল্প-কবিতায় ভরপুর করে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব বই পড়লে অচিরেই জাতি সম্পূর্ণভাবে মেধাশূন্য এবং নীতি-নৈতিকতা বোধহীন অধার্মিক নাগরিকপূর্ণ দেশ-জাতিতে পরিণত হবে।
আলোচকগণ বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে সকল ইসলামী দল ও রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষক, ছাত্র সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়োজন উপলব্ধি করেন। তাই যেকোনো মূল্যে এখনই আমাদেরকে এ অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও দলের সহকারী মহাসচিব মুহাম্মদ আজম খানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈশা শাহিদী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজি আবুল খায়েরসহ দলের নেতা আলহাজ আনিসুর রহমান জিন্নাহ, মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, ইসলামী আন্দোলনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শফিক উদ্দীন, খেলাফত আন্দোলনের উপদেষ্টা ও ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু তাহের, বিশিষ্ট সংবাদ ও কলামিস্ট মহিউদ্দীন আকবর, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আবু তাহের প্রমুখ। বৈঠকে বলা হয়, কওমী মাদরাসার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার নামে কওমী মাদরাসাগুলোকে স্কুল-কলেজে পরিণত করতে দেয়া হবে না।
ইসলামী ছাত্র সমাজ
ইসলামী ঐক্যজোটের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব ডা. মাও. শাওকত আমিন পীর সাহেব বি’বাড়িয়া পাঠ্যসূচি-সিলেবাস ও শিক্ষানীতির গণদাবিতে সোচ্চার হয়ে বৃহত্তম গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. ইলিয়াস আতহারীর সভাপতিত্বে মাওলানা আতহার আলী মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রসমাজ আয়োজিত “গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন ও শিক্ষানীতি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র হিন্দু সিলেবাসের মাধ্যমে শতকরা ৯৫ জন মুসলিম সন্তানদের হিন্দু বানিয়ে এদেশকে হিন্দুস্থানের অংশ বানাবার দুরভিসন্ধিতে সুগভীর চক্রান্তে লিপ্ত। গণ-বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের অশুভ চক্রান্তকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিতে হবে। বৃহত্তম ঐক্যের মাধ্যমে আন্দোলন প্রজ্বলিত করে। আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ছাত্রসমাজের সহ-সভাপতি আরমান হোসেন, মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সচিব শামীমুজ্জামান আযাদ, সমাজকল্যাণ সচিব মো. আলমগীর, মহানগরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ, ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, পল্টন থানার সভাপতি মো. শামীম, মতিঝিল থানার সভাপতি মো. কাউসার প্রমুখ।
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহ্ সূফী আবদুল হান্নান আল হাদী বলেছেন, সরকারের ভেতরে এবং প্রশাসনে বসে একশ্রেণির হিন্দু ও নাস্তিকরা পাঠ্যসূচি থেকে ধর্মীয় শিক্ষণীয় বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নিতে হিন্দুত্ববাদ বিষয়ক গল্প-কবিতা, সন্নিবেশিত করে মুসলিম লেখকদের দূরে সরিয়ে হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের প্রাধান্য দিয়েছে। তিনি বলেন, মুসলিমবিরোধী ও ইসলাম ধ্বংসের পাঠ্যসূচি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থেকে ঈমান রক্ষার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কুফরি ও শিরকি এ পাঠ্যসূচি বাতিলে সরকারকে বাধ্য করতে জোরদার আন্দোলনে ইসলামী দল ও মুসলমানদের অংশ নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন