শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ মার্কিন লেখিকার

‘আমাকে পেছন দিক দিয়ে দেয়ালে চেপে ধরেন...’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ১২:৩০ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন মার্কিন লেখিকা ই জ্যাঁ ক্যারোল। নিউ ইয়র্কের একটি ম্যাগাজিনে নিজের লেখায় এই অভিযোগ করেছেন ক্যারোল। তার দাবি, প্রায় দুই দশক আগে একটি শপিং মলের ড্রেসিং রুমে তার শ্লীলতাহানি করেন ট্রাম্প। এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
নিউ ইয়র্কের একটি ম্যাগাজিনে ক্যারোল তার বিরূপ অভিজ্ঞতার বিষয়ে লিখেছেন। তার অভিযোগ, ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ড্রেসিং রুমে ট্রাম্প আমাকে পেছন দিক করে দেয়ালে চেপে ধরেন। এরপর যৌনাঙ্গে হাত দেন ট্রাম্প। চ‚ড়ান্ত যৌন হেনস্তা করেন তিনি। মূলত মহিলাদের স্বার্থরক্ষায় এবং নারী অধিকার নিয়ে মার্কিন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির জন্য জনপ্রিয় ক্যারোল। নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে তার বহু লেখা বিভিন্ন সময়ে সমাদৃত হয়েছে। বর্তমানে ৭৫ বছর বয়সী ক্যারোলের লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ওই ঘটনার উল্লেখ করার পরই শোরগোল পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। এরপর ওয়াশিংটন পোস্টে একটি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি ফের উল্লেখ করেছেন তিনি।
ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? ক্যারোলের দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে বা পরের বছরের শুরুর দিককার। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই শপিং মলে একটি টিভি শোয়ের সঞ্চালনা করছিলেন তিনি। শো শেষে শপিং মল বন্ধ হওয়ার মুখে তিনি ট্রাম্পের কাছে যেতেই ট্রাম্প তাকে চিনতে পারেন। তাকে বলেন, ‘আপনি তো সেই উপদেশ দেয়া মহিলা।’
ক্যারোল বলেছেন, সেই সময় ট্রাম্প সুদর্শন ছিলেন। বয়স ছিল ৪৯ বছর। ক্যারলের দাবি, কোনো এক মহিলার জন্য উপহার কিনতে তাকে সাহায্য করার আর্জি জানান ট্রাম্প।
ক্যারোলের বক্তব্য, ‘ট্রাম্প তখন একটি টুপি কেনেন এবং উল্লিখিত মহিলার উপহার কেনার নাম করে তাকে মলের উপরের তলায় একটি অন্তর্বাসের দোকানে নিয়ে যান। সেই সময় যেহেতু শপিং মল বন্ধ হচ্ছিল। তাই ওই এলাকায় কোনো লোকজন ছিল না। ট্রাম্প সেই সময় কয়েকটি অন্তর্বাস ও একটি স্বচ্ছ গাউন নেন এবং আমাকে পরতে বলেন।’
ক্যারোলের দাবি, তারা একটি ড্রেসিং রুমের কাছে যেতেই ট্রাম্প তাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেন। সেখানেই তাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন। তারপর জোর করে তার অন্তর্বাস খুলে ফেলেন। যৌনাঙ্গে হাত দেন। এরপর নিজের প্যান্টের চেনও খুলে ফেলেন ট্রাম্প। ক্যারোল বলেন, প্রথমে হেসে ট্রাম্পকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। তারপর কোনও রকমে ধাক্কা দিয়ে ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ করছেন ওই নারী। তিনি ওই নারীকে চেনেন না। কোনো দিন দেখাও হয়নি তার সঙ্গে।
এ ঘটনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলোড়ন পড়ে গেছে। ট্রাম্পের বক্তব্য, পুরোটাই ভুয়া খবর। কোনো প্রমাণ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ নেই। কোনও ছবি নেই, ভিডিও নেই, পুলিশে রিপোর্ট নেই। এ নিয়ে ১৫ জন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনলেন। আর এগুলোর কোনোটিই এ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ক্যারল ডেমোক্রেট দলের সদস্য। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তিনি হিলারি ক্লিন্টনের হয়ে ভোট দিয়েছেন। সেই সময় দলকে মহিলা প্রার্থীদের খরচের জন্য এক হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। আবার ২০১২ সালে বারাক ওবামা যখন দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েন, তখনও ৫০০ মার্কিন ডলার সাহায্য করেছিলেন ওবামার ডেমোক্রেট পার্টির নির্বাচনী খরচের জন্য। সূত্র : নিউজ এইটিন ও বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Prince Shahjajan ২৩ জুন, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
Wholly true not doubt .
Total Reply(0)
Prince Shahjajan ২৩ জুন, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আর নতুন কি!!
Total Reply(0)
Mustafizur Rahman ২৩ জুন, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কত নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে তার কোনো হিসেব আছে।
Total Reply(0)
Sahriar Kibria ২৩ জুন, ২০১৯, ১:৪১ এএম says : 0
আমেরিকার সর্বকালের রেকর্ড করা চরত্রিহীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
Total Reply(0)
Sahriar Kibria ২৩ জুন, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
কিন্তু ট্রাম্পের বিচার করবে কে?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন