মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে লেনদেনে টাঙ্গাইলে এসআইসহ গ্রেফতার ২

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম

টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টবলে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা লেনদেনের সময় হাতে নাতে পুলিশের এসআইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার রাত ৮ টায় টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে জামালপুর সদর কোর্টের এসআই মোহাম্মদ আলী ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মো. খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুল আরেফিন সুমি (৩৫)।

গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, তারাগড় নামাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে মো. কবির হোসেনকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশ কনস্টেবলে চাকরি দেয়ার জন্য আটককৃত এসআই মোহাম্মদ আলী ও সুমির স্বামী মো. খায়রুল বাশারের সাথে চুক্তি হয়। সেই ১০ লাখ টাকা নিয়ে তারা তিনজন মাইক্রোবাস যোগে শুক্রবার জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

গাড়িতে বসেই তারা টাকা লেনদেন করে। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এসে চাকরি প্রার্থী কবির হোসেনের চাচা ওয়াজেদ আলীকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে ১০ লাখ টাকার ব্যাগ নিয়ে সুমি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায়। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সুমি নিচে গিয়ে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে তার স্বামী কথিত সাংবাদিক মো. খায়রুল বাশারের কাছে দেয়। টাকা গুলো নিয়ে খায়রুল বাশার চলে যায়। বিষয়টি ওয়াজেদ আলী দেখে ফেলায় তার মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ওয়াজেদ আলী পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে সুমি তাকে জানায় এসপি’র গেস্ট এসেছে তিনি এখন দেখা করতে পারবেন না। এর পর সুমির সাথে ওয়াজেদ আলীর বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। তখন ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে ডিবি পুলিশের এসআই মো. ফরিদ উদ্দিনসহ কয়েকজন যাওয়ার সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওয়াজেদ আলী বিস্তারিত জানান। এরপর তাদেরকে আটক করা হলে সুমির ব্যাগ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা, সুমির স্বামীর নামে সাংবাদিক আইডি কার্ড ও তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেন।

আটককৃত সুমি জানায় বাকি আট লাখ পাঁচ হাজার টাকা তার স্বামী খায়রুল বাশারের নিকট আছে। শনিবার ওই তিনজনের নামে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন