বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশ পোলিওমুক্ত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৬:৪৮ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশ পোলিওমুক্ত হচ্ছে। দেশের কোনো শিশু যেন অপুষ্টিতে না ভোগে সেজন্য ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টারে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র ৫ থেকে ৫৯ মাস বয়সী কয়েকটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন এ- এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ হতে পারে। তাছাড়া শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। এ বিষয়ে মেয়র সব অভিভাবককে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এম মনজুর হোসেন, মোহম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে গতকাল ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২,০০,০০০ আইইউ) খাওয়ানো হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএনসিসি এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২ হাজার ১৫ শিশুকে এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ রয়েছে। মোট ১ হাজর ৪৯৯টি কেন্দ্রের (স্থায়ী কেন্দ্র ৪৯টি ও অস্থায়ী কেন্দ্র ১ হাজর ৪৫০) মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন চলানো হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে। এ কার্যক্রমে মোট স্বাস্থ্যকর্মী-স্বেচ্ছাসেবী ২ হাজার ৯৯৮ জন, সেখানে প্রথম সারির সুপারভাইজার ১৮৩ জন আর তদারককারী ১০ জন কর্মী রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় সারির ১০৩ জন সুপারভাইজার কার্যক্রমে অংশ নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন