বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এনএসডিএস (ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব স্ট্যাটিস্টিকস) সাপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। চলতি বছর শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়ন শুরু উপলক্ষ্যে রোববার (২৩ জুন) দু’দিনব্যাপী এক কর্মশালা শুরু হয়েছে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই কর্মশালা আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে বিশুদ্ধ করে সেরা তথ্য দেওয়ার। কেউ যেন বলতে না পারে কোনো তথ্য বাড়িয়ে বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও চাননা কোনো তথ্য বাড়িয়ে বলা হোক। প্রকৃত তথ্যই যেন উঠে আসে। রাজনৈতিকভাবে সঠিক তথ্য সরবরাহে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই সত্যবাদী হয়ে আসল কাজটা করতে হবে।
যারা দেশের উন্নয়ন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যারা সন্দেহ করবে তারা তাদের ধারণা নিয়ে থাকুক। দেশের বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য যথেষ্ট।
এনএসডিএস সাপোর্ট প্রকল্প সম্পর্কে এম এ মান্নান বলেন, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নীত করা। নীতিনির্ধারক, পরিকল্পনাবিদসহ অন্যান্য তথ্য ব্যবহারকারীরা যেন যথাসময়ে মানসম্পন্ন সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান পায় তা নিশ্চিত করা।
সভাপতির বক্তব্যে সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এই প্রকল্পটি বা¯স্তায়ন করা গেলে এসডিজির সূচকগুলোর যথাযথ পরীবিক্ষণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহজেই তথ্য উপাত্ত দিতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডাইরেক্টর ডান ডান চ্যান ও জাতিসংঘের আওতাধীন এশিয়া প্যাসিফিক পরিসংখ্যান ইনিস্টিটিউট (ইউএনএসআইএপি) জাপান এর পরিচালক আশিষ কুমার।
এছাড়া ভুটানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক চাইম তাহেরিংসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন