টেকনাফের শালবন শিবিরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রহিমা খাতুন (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ফের রোহিঙ্গা শিবিরে বিরাজ করছে আতংক। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়। তবে একইদিন দুপুরে টেকনাফের হ্নীলার শালবন ২৬ নাম্বার রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলির ঘটনায় আহত হয়।
নিহত নারী হলেন, টেকনাফের হ্নীলা শালবন রোহিঙ্গা শিবিরের এ-১ ব্লকের সালেহ আহাম্মদের স্ত্রী।
টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম বলেন, অস্ত্রধারীদের গুলিতে আহত রোহিঙ্গা রহিমা চিকিৎসাধীন অবস্থায় কক্সবাজারে মারা যায়। এ হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন- গত শনিবার দুপুরে শিবিরের পাশে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীর গুলিতে রোহিঙ্গা নারী গুলিবিদ্ধ হয়। তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক ছিল।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, রোহিঙ্গা ছালে আহমদ পরিবার নিয়ে শালাবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের পাহাড়ের তীরে আশ্রয় নেয়। কিছুদিন আগে তার মেয়েকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তুলে নেয়া চেষ্টা করে। এতে আশপাশের লোকজনসহ বাধা দেয়। এরই সুত্র ধরে তার স্ত্রী পাহাড়ে গরু বেধে দিতে গেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী জকির, সেলিম, হারুনসহ বেশ কয়েকজন তার উপর গুলি করে। এসময় চিৎকারে গুলিবিদ্ধ হয়ে রহিমা মাটিতে পরে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার প্রেরণ করা হয়। পরে চিকিৎসা অবস্থায় সে মারা যায়।
টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, এ শিবিরের এ-১ ব্লকের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষনের ঘটনায় রোহিঙ্গা নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন