শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

১৯ বছর পর বিজ্ঞাপনে ফিরে সাড়া জাগালেন চৈতী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পঁচিশ বছর আগে বার্জার পেইন্টস’র বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন মনির খান শিমুল ও লামিয়া তাবাস্সুম চৈতী। দীর্ঘ পঁিচশ বছর পর আবারো সেই বিজ্ঞাপনের সিক্যুয়ালে কাজ করে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর থেকেই চৈতী দর্শকের ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করার আগে তার ভাবনাতে ছিল হয়তো ভালো কিছু একটা হবে, দর্শক সাড়া পেয়ে তাই বাস্তবায়িত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চৈতী প্রতিনিয়ত দারুণ সাড়া পাচ্ছেন। বিজ্ঞাপনটিতে শিমুলের ‘তোমার কাজল কিন্তু এখনো কালোই ভালো’ সংলাপটি বলার পর চৈতীর এক্সপ্রেসনের মধ্যেই যেন দর্শক বারবার হারিয়ে যান ফেলে আসা দিনে। অবশ্য নতুন প্রজন্মের দর্শকরাও এই বিজ্ঞাপনের অতীত খোঁজার চেষ্টা করে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। কারণ অনেক আগে থেকেই এই দেশে অনেক ভালো বিজ্ঞাপন নির্মিত হতো। বার্জারের প্রথম বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছিলেন আফজাল হোসেন। তবে শিমুল ও চৈতীর বার্জারের যে বিজ্ঞাপনটি ২৫ বছর আগে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তা নির্মাণ করেছিলেন কলকাতার একজন নির্মাতা। ২৫ বছর পর সিক্যুয়াল নির্মাণ করেন আদনান আল রাজীব। বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করা এবং সাড়া পাওয়া প্রসঙ্গে চৈতী বলেন, ‘আমাদের দেশে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক বিজ্ঞাপন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে এখন। কারণ এবারই প্রথম কোন বিজ্ঞাপনের এত বছর পর সিক্যুয়াল নির্মিত হলো। আমাকে উৎসাহিত করে আমার প্রিয় কর্মস্থলে এত বছর পর ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইউনিট্রেন্ড, বার্জার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ তাদের সবাইকে। ধন্যবাদ বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা আদনান আল রাজীবকে, কারণ তার নির্দেশনায় কাজ করে বাংলাদেশের বর্তমান বিজ্ঞাপন নির্মাণের ক্ষেত্রটা আধুনিক এবং আরো গোছানো হয়েছে তা জানা হলো আমার। তাই এখানে নিয়মিত কাজ করার আরো উৎসাহ পাচ্ছি।’ উল্লেখ্য, চৈতী রাজীব মেননের নির্দেশনায় রেক্সোনা এবং পরবর্তীতে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় বার্জারের প্রথম বিজ্ঞাপন, জুঁই নারিকেল তেল, আমিন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনে মডেল হন। ১৯৯৯ সালে বাবা অভিনেতা এ টি ফয়েজ উদ্দিনের জন্যই আফজালে হোসেনের নির্দেশনায় ‘ছবির মতো মেয়ে’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন আফজাল হোসেন, শিমুল ও জয়া আহসান। তবে তার বাবা সে বছর নভেম্বরে ইন্তেকাল করেন। বাবা তার অভিনয় দেখে যেতে পারেননি। তাই আর চৈতীকে কাজে দেখা যায়নি। চৈতী বর্তমানে রাজধানীর উত্তরায় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষকতা করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Md Robiul Islam ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৪২ এএম says : 0
কি এত সাড়া যাগালো সেটাইতো বুঝলাম না!!!
Total Reply(0)
Mirza Anik Hasan ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৪৩ এএম says : 0
অভিনন্দন, ভালো খবর।
Total Reply(0)
Sahriar Kibria ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
নিজের দেহ প্রদর্শন করে সাড়া যাগাতে সবাই পারে।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন