২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা দেওয়া হলেও বাজারে এর ইতিবাচক কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বরং উল্টোপথে হাঁটছে দেশের দুই পুঁজিবাজার। বাজেটের পর গতকালসহ লেনদেন হওয়া গত ৬ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। এই সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক হারিয়েছে ৯১ পয়েন্ট। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেরও (সিএসই)।
বাজার বিশ্লেষকতের মতে, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা দিলেও তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এতে করে বাজেটে লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হলেও এর সুফল বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন না। এতে করে বাজেটের পর লেনদেন হওয়া গত ৬ কার্যদিবসের মধ্যে চারদিনই পুঁজিবাজারেরর সূচক কমেছে। বিশেষ করে প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ এবং কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ হলে বর্ধিত রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা নিয়ে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আর এই কারণে পুঁজিবাজার দরপতন হচ্ছে।
গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৪৯টি কোম্পানির ১০ কোটি ৪৮ হাজার ৮৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্ট হয়েছে। আর ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৩১ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয় ৩৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন