শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রার্থী হতে পারবেন না বিবাহিতরা

ছাত্রদলের কাউন্সিল ১৫ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম | আপডেট : ১২:০৭ এএম, ২৪ জুন, ২০১৯

ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুলাই। ওই দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাউন্সিলে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ওইদিন ছাত্রদলের ভোটাররা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো বিবাহিতরা ছাত্রদলের নেতৃত্বের জন্য প্রার্থী হতে পারছেন না। গতকাল (রোববার) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচন পরিচালনায় আপিল কমিটির প্রধান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন কাউন্সিলের বিস্তারিত তথ্য তুল ধরে বলেন, কাউন্সিল উপলক্ষে ২৪ জুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ জুন ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ২৬ জুন। ২৭ ও ২৮ জুন প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ, ২৯ ও ৩০ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন গ্রহণ। প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হবে ১, ২ ও ৩ জুলাই, প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ ৪ জুলাই, প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি গ্রহণ ৫ জুলাই, প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তি নিষ্পত্তি ৬ জুলাই, ৭ জুলাই প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীরা ১৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং ছাত্রদল কমিটি গঠনের সার্চ কমিটির প্রধান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভোটগ্রহণের স্থান এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিবাহিতরা ছাত্র নয়, তারা প্রার্থী হতে পারবেন না।

বিলুপ্ত কমিটির একাংশের আন্দোলন এবং বহিষ্কারের বিষয়ে দুদু বলেন, যারা ২০০০ সাল এবং এর পরবর্তী সময়ে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তারাই ছাত্রদলের কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবে। ছাত্রদল খুব নিয়ম-শৃঙ্খলার ছাত্র সংগঠন। ডাকসু, রাকসু, চাকসুসহ এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই যার নেতৃত্ব দেয়নি। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় ছিল ছাত্রদল। সেই সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলার বাইরে যারা যেতে চায় তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারণ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর আমরা সকলে তাদের সাথে কথা বলেছি। তারপরও তাদের ক্ষোভ থাকলে তারা প্রতিবাদ করতেই পারে এবং করেছে। কিন্তু প্রতিবাদটাকে যখন সহিংসতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে টার্গেট করার বিষয়ে তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরাসরি পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে আহত হন। এখনো তিনি সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তার নিয়মিত বাসা এবং বিএনপির কার্যালয়ে আসা-যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। দলীয় কারণেই তাকে কার্যালয়ে বেশি সময় থাকতে হয়। তিনি দলের নির্দেশেই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। দল তাকে যেটা করতে বলে এবং বলতে বলে তিনি সেটাই করেন এবং বলেন। সুতরাং তাকে টার্গেট করা সমুচিত নয়, অনৈতিক এবং শাস্তিযোগ্য। এটা ছাত্রদলের সাথে যায় না। এ বিষয়ে দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি যথাযোগ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমূখ।

গত ৩ জুন ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিল আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়। এজন্য সাবেক নেতাদের দিয়ে তিনটি কমিটি গঠন করে বিএনপি। কমিটি তিনটি হচ্ছে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, বাছাই কমিটি ও আপিল কমিটি।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আছেন দলের খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও রাজীব আহসান।
বাছাই কমিটিতে আছেন দলের ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান। আপিল কমিটিতে রয়েছেন শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন ও আমানউল্লাহ আমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Ariful Islam ২৪ জুন, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
সঠিক সিদ্ধান্ত
Total Reply(0)
নুরু জ্জামান ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
আমি বিয়ে করছি না৷ তার পরে এইবাবে বলা যায়না
Total Reply(0)
Md Rafiqul Islam Shamim ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
good decision
Total Reply(0)
Md Tajuddin Doha ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
অছাত্র বলা উচিৎ ছিলো ।
Total Reply(0)
Md Abdur Rahaman Peal ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
প্রার্থী হতে পারবো না ঠিক আছে,কিন্তু ছাত্রদল কি করতে পারবো।এটা পরিষ্কার করা দরকার
Total Reply(0)
Masud Khan Reza ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
বিবাহিতরা প্রার্থী হতে পারবে না-এবারের সেরা সিদ্ধান্ত-
Total Reply(0)
Ashraf Uddin ২৪ জুন, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
নিয়ম যদি না মানা হয় তাহলে নিয়ম করা হয় কেন।।
Total Reply(0)
আলন ২৪ জুন, ২০১৯, ১০:০৩ এএম says : 0
যারা নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য রাস্তায় নামতে সাহস করেনি তারা কেন কার্যালয়ে তালা দিল!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন