মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পটুয়াখালীর বাউফলে জমি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৯, ৯:২৯ পিএম

পটুয়াখালী বাউফলের বড় ডালিমা গ্রামে দু’পক্ষের জমির বিরোধ থামাতে গিয়ে পুলিশের পিস্তল ছিনতাই হয়েছে। ঘটনার ৪ ঘন্টা পরে এসআই মাইনুদ্দিনের ব্যবহৃত ৭.৬২ নম্বরের ১০ রাউন্ড গুলি সহ পিস্তলটি একটি নারিকেল গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। সংঘর্ষে পুলিশ সহ উভয় পক্ষের দু’গ্রুপের ১৬ জনকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে বাউফল থানা পুলিশ। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার গংদের সাথে একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সকালে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে কামাল হোসেন গংরা প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করতে যায়। এসময় হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দিতে গেলে তাদেরকে জমির কাছে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়। হাকিম হাওলাদার এঘটনা বাউফল থানাকে জানালে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ গেলে কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এসময় মাঈনুদ্দিন নামের এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলি সহ পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায় আব্দুল আলী’র ছেলে ফিরোজ হাওলাদার। এঘটনা বাউফল থানার পুলিশ জানতে পেরে ওসি খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল এক পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের সাথে পাশ্ববর্তী কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দুপুর একটার দিকে ফিরোজের বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে লুণ্ঠিত গুলি ও পিস্তল উদ্ধার করেন। এদিকে জমির বিরোধে পুলিশের সামনেই চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৪ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দোকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান বাউফলে অবস্থান করছেন। ওই এলাকায় থম থমে পরিস্তিতি বিরাজ করছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন