বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আ.লীগ হীরা, যত কাটে তত উজ্জ্বল হয়

৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আওয়ামী লীগকে হীরার সঙ্গে তুলনা করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হীরা যত কাটে, তত উজ্জ্বল হয় বলে। জনগণের জন্য কাজ করে বলেই আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। তবু ৭০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ টিকে আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। নির্যাতনের শিকার দলটির অসংখ্য নেতাকর্মীর বলিদানেই দলটি শক্তিশালী হয়েছে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, অর্জনের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ উজ্জ্বল। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ী এখন আমরা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছি। আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের মানুষ অন্তত কিছু পায়। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কারণেই বারবার নির্যাতনের পরেও শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন যতো বেশি হয়েছে আন্দোলনের গতিও তত বেড়েছে। শত আঘাতেও আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, এই অবস্থা ধরে রাখার জন্য দলকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোন অহমিকা করব না। মাটির সঙ্গে মানুষের সঙ্গে মিশে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব।

প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগের প্রয়োজন। তাই সবাইকে বড় অর্জনের জন্য আত্মত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সেই আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। এই আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে দলকে গোছাতে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। সারা বাংলাদেশ ঘুরে তিনি দলকে গড়ে তুলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতা হারায়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশকে স্বাধীন করে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নতুন করে গড়ে তোলেন। সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, পুলিশ বিডিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও সংবিধান রচনা করে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করে এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একইসঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে এ দেশের মানুষের মাথাপছু আয় এখন ১৯০৯ডলার। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন শীল দেশ । বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়, এ দেশের মানুষ যেন সুখে শান্তিতে থাকে সে জন্য আমরা কাজ করছি। মুজিব আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলের নেতাকর্মীদের মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মনতাসীর মামুন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, এ কে এম রহমতুল্লাহ ও হাজী আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Mohi Uddin ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
মসজিদের মাইকে ডেকেও মানুষ আনতে পারে না ভোট কেন্দ্রে! এমন অবস্থা হয়েছে আম্লীগের রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করতে হয়!! আম্লীগ শুধু তাদের মুখে মুখে বেঁচে আছে, মানুষের অন্তরে নেই আম্লীগ!
Total Reply(0)
Mohd Anwar ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন,দেখবেন হীরা কয়লা হয়ে যাবে
Total Reply(0)
Muhammed Washim ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
আগের যুগে,,, খেলাফতের যুগে,,,খলিফারা দায়িত্ব নিতে চাইতেন না,তারা এটাকে অনেক ভারি মনে করতেন,তারা জানতেন তারা জান্নাত বাসী হবেন,,,তবুও তারা,, ক্ষমতাটা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করতেন,কারন যাতে তার অপব্যবহারের কারনে,,আল্লাহর সম্মুখির হতে না হয়। আর বর্তমান শাসকগণ মানুষ মেরে হলেও ক্ষমতা চাই। সমাজে প্রতিটা অন্যায়ের জবাব,বিচারহীনতার জবাব,, একদিন এই শাসকগণকেই দিতে হবে।
Total Reply(0)
Asadur Rahman ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
ঠিক বলেছেন। ঘষা দিলে শুধু চুরির টাকা পাওয়া যাবে। খালি হীরা আর হীরা। এতো হিলা হিরা খনিতেও আছে নাকি। আমাদের ভাবিয়ে তুলে।
Total Reply(0)
Tanweir Elahee ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
Its true
Total Reply(0)
MD Manik Usman ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
Yes,welcome more and forever
Total Reply(0)
Md Kamrul Shekh ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
১০০% রাইট
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহম ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:৪৩ পিএম says : 0
বাঙ্গালী জাতির পিতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আজিবন ক্ষুদা দারিদ্র্য মুক্তির সংগ্রামী বার বার পাকিস্তান হায়েনাদের অত্যাচার নির্যাতিত ফাসির দড়ি এক যুগের বেশী জেলের পর জেল আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাহার হীরার টুকরো গৌরভ ময় বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানের বিশাল রাজনৈতিক প্রজ্ঞা গতিশীল উন্নয়ন দেশ আন্তর্জাতিক ভাবে সম্মানিত আমরা তলা বিহীন জুড়ি নয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পিতার বুকের রক্তাক্ত বাংলাদেশ তাহার পুরো সহিদী পরিবারের কাফেলার এই বাংলাদেশ। আওয়ামীলীগ হীরার চাইতে ও বেশী। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বিশাল ব্যাক্তিত্বের সামনে দেশে নয় বিদেশীরা নত হয়ে যান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই রকম সৎ সাহসী নেতা শতাব্দীর পর শতাব্দী আর পাবেন না। কোটি কোটি বঙ্গবন্ধুর হীরার টুকরো সন্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক স্বপ্ন ক্ষুদা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়ন। সামাজিক নিরাপত্তা আইন শৃঙ্খলা তৃণমূল থেকে জাতীয় পয্য্যয়ে বঙ্গবন্ধুর আদশ্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দর্শন নিঃস্বার্থ দেশ প্রেম মমতা। মানবতার আদশ্য আরো বিকশীত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদশ্যের ভিখারী।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন