কটিয়াদী পৌর সদরে বাসা-বাড়ি থেকে বের হলেই মনে হয় প্রচারকারীরা মাইক বাজানোর প্রতিযোগীতায় নেমেছে। হরহামেশাই তারা রিকশাযোগে ডাবল স্পীকার লাগিয়ে মাইক বাজিয়ে বিভিন্ন পন্য দ্রব্যের এমনকি ডাক্তার ও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নামে বিকট শব্দে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা স্কুল কলেজ এবং মসজিদ, মন্দির এবং বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্টানে মাইক ও ডেকসেট বাজানো থেকে নিবৃত্ত হয় না। একটি রিকশায় অতি মাত্রায় ডবল মাইক বাজানোর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির গ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা।
উচ্চশব্দে হৃদরোগীদের ধমনী কম্পন বেড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পাড়ে। মানুষের শব্দ সহ্য করার স্বাভাবিকমাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবেল। এক বছর পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপে দেখা যায় যে দেশের প্রায় সমস্ত জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে শব্দের মাত্রা ১১০ থেকে প্রায় ১২০ ডেসিবেল পর্যন্ত। উপজেলা প্রশাসন বেশ কিছুদিন পূর্বে উপজেলা সদরে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে প্রতিটি রিকশায় একটির বেশী মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে ডেকসেট সহনীয় মাত্রায় বাজানোর নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত মাইক ও ডেকসেট ব্যবহারকারীরা এই নিষেধাজ্ঞা মানার ধারে কাছেও নেই। কটিয়াদী বাজারের বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মো. সেলিমসহ আরও অনেকেই বলেন বর্তমানে মাইকের শব্দ দূষণের কারনে দোকানে বসে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার বিজ্ঞজনরা, প্রতিটি থানা পুলিশের নিকট শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র সরবরাহ করে, আইনপ্রয়োগের মাধ্যমে কার্যকর করা দরকার বলে মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন