শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

কানস লায়নস এ বাংলাদেশের গৌরব বয়ে আনলো গ্রে, ঢাকা

গ্রন্থনা : মোহাম্মদ শাহ আলম | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

কানস লায়নস-২০১৯ এ গ্রে, ঢাকা প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশের হয়ে। বিজ্ঞাপন জগতের অস্কার হিসেবে পরিচিত কানস লায়নস এবার তিনটি পুরস্কার জিতেছে। দুটি সিলভার ও একটি ব্রোঞ্জ। বিশ্বব্যাপি বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর মধ্যে সেরা ক্রিয়েটিভ কাজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় কানস লায়নস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার হিসেবে থাকে একটি কানস লায়নস মেডেল ও সার্টিফিকেট। গ্রে, ঢাকা এবারের কানস লায়নে তাদের অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জমা দিয়েছেন যার মধ্যে ৮টি ক্যাটাগরিতে শর্টলিস্টেড হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো, পিআর, ডিরেক্ট, মোবাইল, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-পোভার্টি, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-ডিসেন্ট ওয়ার্ক ফর ইকোনোমিক্যাল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-রিডিউসড ইনইকুয়ালিটি, ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স-ইভেন্ট এন্ড অ্যাকটিভেশান, ক্রিয়েটিভ ই-কমার্স।এরমধ্যে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুটি সিলভার লায়ন ও একটি ব্রোঞ্জ লায়ন অর্জন করেছে গ্রে, ঢাকা। ২০১৪ থেকেই বাংলাদেশের হয়ে কানস এ অংশগ্রহণ করছে গ্রে, ঢাকা। ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্ট হয়ে, যার মধ্যে ২০১৬ তে গোল্ড পেয়েছিল-যা বাংলাদেশের প্রথম কানস লায়ন অর্জন।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও স্বপ্নের সাথে যৌথভাবে অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি করা হয়। বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকরা যারা খুব বেশি ফসলা ফলাতে পারে না আবার যতটুকু ফলে ততটুকু নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়তি থাকে। ফলে এই বাড়তি ফসলটুকুতে তারা ন্যায্যম‚ল্য পায় না। অ্যাগ্রোব্যাংক তাদের জন্য একটি নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে পরীক্ষাম‚লকভাবে। যেখানে কৃষক তাদের সেই বাড়তি ফসলটুকু জমা দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে এবং প্রতিদিন তাদের ফসল জমা দিবে আর তাদের অ্যাকাউন্টে সেই ফসলের বিনিময়ে টাকা জমতে থাকবে। যা তারা তাদের মোবাইলে দেখতে পারবে, ম্যানেজ করতে পারবে। অন্যদিকে স্বপ্ন সেই তাজা শাক-সবজি-পোল্ট্রি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বপ্নের রিটেইল আউটলেটে বিক্রি করবে।
প্রজেক্টটির ম‚ল আইডিয়া, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন গ্রে, ঢাকার সিনিয়র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকরুম হোসেন শাহিন। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন গ্রে, ঢাকার চীফ ক্রিয়েটিভ ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন। অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটিতে আরো যারা নিবিঢ়ভাবে জড়িত ছিলেন তারা হলেন, গ্রুপ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর নুরুর রহমান বাচ্চু, অ্যাসোসিয়েট ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তাওহিদ মিলটন ও শরিফুল ইসলাম তামিম, ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার নুরুল ইসলাম, সিনিয়র কপিরাইটার ওয়ালিদ রাজামিয়া ও রাকিব কিশোর, সিজি অ্যানিমেশান-আবির কর্মকার।
কানস লায়ন অত্যন্ত সম্মানজক একটি অর্জন। এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। অত্যন্ত গৌরবের একটি বিষয়। এই অর্জন আমাদের ক্রিয়েটিভ কাজের আন্তর্জতিক স্বীকৃতি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন