কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেন, ডাস্টবিন, ফুটপাত, খাল খনন, হাট-বাজার, ঈদগাহ, মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, স্কুল, কলেজসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বাস্তবায়নের রূপরেখাকে সামনে রেখে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৪৩ টাকার বাজেট প্রস্তাব আকারে ঘোষণা করেন কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৩১০ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়–য়া, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন খান জম্পি, সৈয়দ মো. সোহেল ও কুসিকের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদসহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার গত অর্থ বছরের চেয়ে কিছুটা ছোট হলেও তাতে স্বাস্থ্য, পয়:প্রণালী, পরিবেশ উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, খাল খনন, ড্রেন নির্মাণ ও মেরামত খাত তথা অবকাঠামো নির্মাণের উপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও নগর সৌন্দর্য্য, আলোকবাতি, বাণিজ্যিক মার্কেট, অডিটরিয়াম নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প খাতেও বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট ঘোষণার পর মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নগরীতে পাবলিক পরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা চলছে। তাতে করে যানজট নিরসন হবে। পানিবদ্ধতা নিরসন প্রসঙ্গে মেয়র সাক্কু বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার ৯টি খাল খনন ও সংস্কারের যে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল তারমধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। মেয়র সাক্কু বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিরন্তর চেষ্টা ও নগরীর সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতায় কুমিল্লা সিটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। ইনশাল্লাহ, সামনের দিনগুলোতে কুমিল্লা নগরী একটি আধুনিক ও উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে উঠবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন