শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অবকাঠামোগত উন্নয়ন গুরুত্ব পেলেও কমেছে ক্রীড়া বাজেট

পূর্বাচলে হচ্ছে অত্যাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : নতুন অর্থবছরে ক্রীড়াখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন গুরুত্ব পেলেও কমেছে ক্রীড়া বাজেট। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ক্রীড়া খাতে বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১শ’ ৫৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা কম। এবার বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম উন্নয়ন, নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সুইমিং পুল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে পূর্বাচলে নির্মাণ হবে অত্যাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব তথ্য জানান। নতুন বাজেটে ক্রীড়াখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন গুরুত্ব পেলেও কমেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) বরাদ্দ। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এনএসসি’র ব্যয় ছিল ১১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এবারের বাজেটে তা করা হয়েছে ৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তবে বেড়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)’র জন্য বরাদ্দ। পুরনো অর্থ বছরে বিকেএসপি’র জন্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
আটটি নতুন প্রকল্প নতুন অর্থ বছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ১. নীলফামারি, নেত্রকোনা জেলা স্টেডিয়াম উন্নয়ন ও রংপুরে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ (২১ কোটি ও ৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প)। ২. কিশোরগঞ্জ জেলায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম উন্নয়ন (১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্প)। ৩. ভৈরবে আইভি রহমান স্টেডিয়াম নির্মাণ (৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার প্রকল্প)। ৪. নাটোর ও গাইবান্ধায় ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ (৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রকল্প)। ৫. কুমিল্লা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম উন্নয়ন ও সুইমিং পুল নির্মাণ (১৬ কোটি টাকার প্রকল্প)। ৬. চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর সুইমিং পুল নির্মাণ (১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্প)। ৭. সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ (১৬ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রকল্প) ও ৮. দেশের বিদ্যমান জেলা স্টেডিয়ামগুলো সংস্কার ও উন্নয়ন (৪৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রকল্প)।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন,‘২০১৮ সালের মধ্যে পূর্বাচলে অত্যাধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এই কমপ্লেক্সের মূল স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ৫০ হাজার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার হবে। অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। প্রকল্পের সুফল পাবে সকল পর্যায়ের জনগণ।’
তিনি আরো বলেন,‘দেশি-বিদেশি সবার কাছেই স্থাপনাগুলো বিশেষভাবে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসেবে সমাদৃত হবে। এ জন্য আমাদের ৭০ একর জমি ক্রয় করতে হবে। এই এলাকাকে জাতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রকল্পের ব্যয় পরবর্তীতে জানানো হবে।’ তিনি জানান,ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন