বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিএসএমএমইউর বাজেট ঘোষণা

বরাদ্দ ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর (২০১৮-২০১৯) বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা (সংশোধিত)। বাজেটের শতকরা হারে বৃদ্ধির পরিমাণ ২৪ দশমিক ৩৪ ভাগ। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে গবেষণা খাতে মোট বরাদ্দের মাত্র ১ দশমিক ৯৯ ভাগ রাখ হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাজেট সম্পর্কিত এ তথ্য তুলে ধরেন বিএসএমএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। এর আগে একই দিনে বিএসএমএমইউ’র ৭৪তম সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয়। প্রস্তাবিত বাজেট ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে ৩৫৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৭৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আয় হতে ৪০ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ১৫৫ কোটি ২ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

বাজেটে বেতন ১৪০ কোটি ৫৪ লাখ ৫৪ (২৬ দশমিক ৬০ ভাগ), ভাতা ১২১ কোটি ৩০ লাখ (২২ দশমিক ৯৬ ভাগ), পণ্য ও সেবা (অন্যান্য) ৪৯ কোটি ১৭ লাখ (৯ দশমিক ৩১ ভাগ), পেনশন মঞ্জুরী ২৭ কোটি ৪৮ লাখ (৫ দশমিক ২০ ভাগ), গবেষণা মঞ্জুরী ১০ কোটি ৫০ লাখ (১ দশমিক ৯৯ ভাগ) ইত্যাদি রাখা হয়েছে। ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, ৫২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে ২১০ (দুই শত দশ কোটি) টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে ১২৩ (একশত তেইশ) কোটি ৩৮ লাখ টাকা অনুদান পাওয়া গেছে এবং নিজস্ব আয় থেকে ব্যয় নির্বাহের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। এরফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫৫ কোটি ২ লাখ (২৯ দশমিক ৩৪ ভাগ) টাকা। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের রূপকল্পসমূহ বা ভিশন তুলে ধরেন। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট-এর মতো জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিশ^বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে এবং আরও বিস্তৃতভাবে প্রচলন এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে জরুরি বিভাগ চালু হবে। এতো দিন নার্স সংকটরে কারণে চালু হয়নি সাধারণ জরুরি বিভাগ। দুই-একদিনের মধ্যে নার্স নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকট দূর হলেই জরুরি বিভাগ দেখতে পাবে জনগণ। দ্রুতই বোন মেরো ট্রান্সপ্ল্যান্টের কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইনফারটিলিটি সেন্টার আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নন-প্রাকটিচিং চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে আরাও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রো-ভিসি ডা.সাহানা আখতার রহমান, প্রো-ভিসি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন