বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দুর্বৃত্তদের পকেট ভরতেই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে : সরকার মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্বৃত্তদের পকেট ভারতেই সরকার নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ১৭৫ টাকা প্রতি চুলায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই দাম বাড়ানো হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের যে ব্যবসায়ীরা এলএনজি গ্যাস আমদানি করছে তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। তাদের পকেট ভারী করার জন্য এবং দৃর্বৃত্তদের পকেট ভারী করার জন্য সরকার এটা করেছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (এ্যাব) উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার নিজেরাই একটা লুটেরা সরকার, এই সরকার নিজেরাই একটা লুণ্ঠনকারী সরকার। তারা জনগণকে লুণ্ঠন করছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাজেটের মাধ্যমে একদিকে জনগণের সম্পদকে লুট করে নিচ্ছে, অন্যদিকে তারা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে আরো বেশি করে সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই সরকার এক এক করে রাজনৈতিক জীবনে, অর্থনৈতিক জীবনে ও সামাজিক জীবনে এক ভয়াবহ সংকটের সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের বিরোধিতা করায় হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা আছে, এক লাখ মানুষের ওপরে মামলা আছে, দেড় হাজারের ওপরে মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ অসহায়। কোনো রকম আশ্রয় ছাড়া, কোনো রকম আইনের শাসন ছাড়া তারা করুণ অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তারা পরিকল্পতভাবে এই সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সংকট সৃষ্টি করে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সবার চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ধর্ষণ, লুট, অপহরণ করা হচ্ছে। কোথাও কোনও বিচার নেই, ব্যবস্থাও নেই। যেভাবে আদালত, বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, আদালতের অজুহাত দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। ঠিক একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছে জনগণ ওপরে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকট নিরসনের একমাত্র পথ খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি দেওয়ার মধ্যদিয়ে আমরা একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতে পারি। অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং অবিলম্বে এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।

এ্যাবের সিনিয়র প্রকৌশলী মো. মহসিন আলীর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর পরিচালায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, জাকির হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শামীমুর রহমান শামীম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন