নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসে কেরোসিনের চুলা বিস্ফোরণে দগ্ধ কলেজছাত্রী সানজিদা খাতুন (২০) মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইসাহাক আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সানজিদা খাতুন জেলার লালপুর উপজেলার বিলসলিয়া গ্রামের সাহাবুল ইসলামের মেয়ে। সে নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজের (এনএস) দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
এদিকে নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, গত ২৭ জুন সকালে নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার জোতি ছাত্রী নিবাসে এনএস সরকারি কলেজের তিন ছাত্রী রান্না করছিলেন। এসময় কেরোসিনের চুলাটি বিস্ফোরিত হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছিটকে তিন ছাত্রীর শরীরে লেগে তারা দগ্ধ হন। দগ্ধ ছাত্রীরা হলেন- শামীমা, সানজিদা ও ফাতেমা।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে শামীমা ও সানজিদাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে সানজিদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, সানজিদার শরীরের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এজন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন