বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মতভেদ

দাম পুনর্বিবেচনার দাবি ১৪ দলের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সব রকমের গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দ্বিমত দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীনদের মধ্যেই। ক্ষমতাসীন জোট ১৪ দল বলছে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতেরও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আসবে, তখন সকল জিনিসেরই দাম স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। বাজেট পাশের পর কেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পুনঃ বিবেচনা করার দাবি করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা বলছে, বেশ কিছু যৌক্তিক কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিরুপ প্রভাব পড়লেও দেশের মানুষ বাস্তবতা বোঝে তাই এতে কোন সমস্যা নেই।

গতকাল রাজধানীতে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য পুনঃবিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় জোটের নেতৃবৃবন্দ। এতে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তারা বলেন, সরকারকে অনুরোধ করবো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে দেখুন যদি সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। জনগণের যাতে দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হয়। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে এবার বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। ফলে সর্বপরি প্রত্যেকটা পণ্যের দাম বাড়বে। যাতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই সরকার জনবান্ধব সরকার। আজকে অনেকের মনে প্রশ্ন এসেছে যে, বাজেট পাস হয়ে গেল তারপরও কেন আকস্মিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।

এ বিষয়ে গতকাল সচিবালয়ে এক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায় অবশ্যই প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগেও কিছুটা চাপ বাড়বে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য পণ্যে দাম কী পরিমাণ বাড়বে এটাও দেখতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারো আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, আর কত ভর্তুকি দিয়ে চালানো যাবে। আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে অনেক বেশি দাম পড়ে। সে অনুযায়ী কিন্তু দাম বাড়ানো হয়নি। যত খরচ পড়ছে সেটা কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। দামে কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় দুই কোটির ওপর চাপ পড়বে। তবে বাকি ১৩ কিংবা ১৫ কোটি মানুষর কিন্তু তেমন কিছু হবে না। তারপরও এ ক্ষেত্রে দামটা এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে যাতে চাপটা সহ্য করা যায়।

গ্যামের দাম মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ বাস্তবতা বোঝে। বাস্তব কারণে যৌক্তিক কিছু দাম এখানে সমন্বয় করা হয়েছে। কাজেই দেশের মানুষ এই বিষয়টাকে সহজভাবে নেবে। এরপরও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যাতে জনগণের কোনও ভোগান্তি না হয়, সরকার সেদিকে সচেষ্ট থাকবে।

উল্লেখ্য গৃহস্থালি গ্রাহকদের এক বার্নার চুলার মূল্য নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে ৯২৫ টাকা, দুই বার্নার চুলায় ৯৭৫ টাকা। এর আগে মূল্য ছিল যথাক্রমে ৭৫০ ও ৮০০ টাকা। গৃহস্থালি প্রিপেইড মিটারে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়েছে। সিএনজিচালিত যানবাহনের গ্যাসের দাম ৩৮ টাকা থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৩ টাকা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাস প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার কারখানায় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা এবং শিল্প কারখানা ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়েছে।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
রহিম ৩ জুলাই, ২০১৯, ৩:১৪ এএম says : 0
ত্রক দাপে ১৭৫ টাকা বেশি তার মানি দূরনীতি করতে সূবিধা হবে সব চুর
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন