শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সার্কাসের অনুমতিতে টু-স্টার লাকি কুপন ব্যবসা নামমাত্র পুরস্কারে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কয়ড়া কালিবাড়ি মাঠে সার্কাসের পাশাপাশি চলছে অবৈধ লটারির জমজমাট ব্যবসা। এলাকাবাসীর বিনোদনের জন্য আয়োজক কমিটি সার্কাসের অনুমতি পায়। গত ১৭ মে থেকে শুরু হয়ে সার্কাস চলছে পাশাপাশি অবৈধ লটারি। সার্কাসের পাশাপাশি সেখানে চলছে দৈনিক টু-স্টার লাকি কুপন ব্যবসার নামে অবৈধ লটারির খেলা। আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে কুপন বিক্রির নামে প্রতিদিন হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে কয়েক লাখ টাকা। দুই একটি ভালো পুরস্কার দিয়ে বাকিগুলো দেওয়া হচ্ছে নামমাত্র পুরস্কার। ফলে প্রতিদিন আয়োজক কমিটি ও লটারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষের পকেটে চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া লাখ লাখ টাকা। দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিদিনের কষ্টার্জিত আয়ের একটি অংশ লটারি কেনায় ব্যয় করায় সংসারে নানা বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব ও সংসারে কলহবিবাদ বাড়ছে। শেখর গ্রামের মজনু ফকির বলেন, আমি এ পর্যন্ত দুই হাজার টাকার লটারি কিনেছি। এ ব্যাপারে আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. রাজ্জাক মোল্লা ফোনে প্রথমে তিনি মেলার সভাপতি না জানালেও পরে তিনি মেলার সভাপতি স্বীকার করে বলেন, এখানে মেলার অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে লটারির অনুমতি পাওয়া যায়নি। এটা বন্ধ করলেও ভালো আবার চললেও ভালোÑ এটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. খায়রুজ্জামান জানান, আমার জানামতে ওখানে সার্কাসের অনুমতি রয়েছে। লটারির কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে এখন যেহেতু অভিযোগ এসেছে আমরা এখনই এটা বন্ধ করে দেব। তবে ইউএনও মুখে সাংবাদিকদের এ কথা বললেও বোয়ালমারী বাজারসহ আশপাশের বাজারে লটারি বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি ভ্যান গাড়িসহ নানা যানবাহনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন