একজন আদর্শ শিক্ষক মানুষ তৈরির কারিগর। তিনিই পারেন আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা ও কাঠামো তৈরি করতে। এজন্যই শিক্ষকতাকে অপরাপর পেশার মানদÐে পরিমাপ করা যায় না বলে অনাদিকাল থেকে এটি একটি সুমহান পেশা হিসেবে সমাজ সংসারে পরিগণিত হয়ে আসছে। কারণ জ্ঞানই মানুষের যথার্থ শক্তি ও মুক্তির পথ নির্দেশ দিতে পারে। শিক্ষকরা জাতির প্রধান চালিকাশক্তি। এক কথায় বলা যায়, শিক্ষক মানুষ চাষ করে। যে চাষাবাদের মধ্য দিয়ে মনুষত্বের বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার দ্বারা উপকৃত হয়। জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে প্রয়োজন মানুষ গড়ার কারিগর। তাই শিক্ষকদের পর্যাপ্ত পেশাগত স্বাধীনতা থাকা দরকার। এর পাশাপাশি যথার্থভাবে শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও মর্যাদা সুরক্ষাসহ শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত করার ব্যাপারে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সামাজিক দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে শিক্ষকতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আমাদের সমাজে এমনকি জাতীয়ভাবে শিক্ষকদের তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে শিক্ষকতার মতো মহান পেশাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা হয়। বলতে লজ্জা হয়, দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নিগৃহীত হতে দেখা যায়। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও অমানবিক কাজ। আমাদের উচিত শিক্ষকদের যথার্যাথ মূল্যায়ন করা এবং তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু তাদেরকে দেয়া।
মো. সজিবুর রহমান সজীব
শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন