মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

কাঁঠালের উপকারিতা

| প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। আল্লাহর দেয়া অসংখ্য নেয়ামত রাজির মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। ফলা ফলাদির মধ্যে অনেক ফল রয়েছে যা মানব জীবনে বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এর মধ্যে কাঁঠালের উপকারিতাও কম নয়। মৌসুমি এ ফলে প্রচুর পরিমাণ ভেষজগুন রয়েছে। মানবদেহে উপকারি কাঁঠালের কিছু গুনাগুনঃ-
কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ আছে, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কাঁঠাল ভিটামিন সি’র অন্যতম সহযোগী। প্রাকৃতিক ভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। তাই কাঁঠালে থাকা ভিটামিন “সি” শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে।
কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানবদেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
বদহজম রোধে বেশ উপকারী কাঁঠাল।
কাঁঠালে তৈলের পরিমাণ কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী রোগের উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
কাঁঠালে থাকা ম্যাঙ্গানিজ শরীরের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয়, রক্ত সঞ্চালনেও ভূমিকা রাখে।
ছোটবেলা থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়।
গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়।
দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।
কাঁঠালে থাকা খনিজ উপাদান আয়রণ যা দেহের রক্ত স্বল্পতা দূর করে। এভাবে কাঁঠালের রয়েছে আরো অসংখ্য মানব দেহের জন্য উপকারি ভেষজগুন। তাই আসুন আমরা সবাই কাঁঠাল সহ আল্লাহর দেয়া সকল নেয়ামতের পরিমান মত শুদ্ধ ও সঠিক ভাবে ব্যবহার এবং ভক্ষণ করে সুস্থ থাকি। সাথে সাথে আল্লাহর নেয়ামতের শোকরানা করি।

কাজী এম এস এমরান কাদেরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
amrankaderi@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Rabiul ১৭ জুন, ২০২০, ৭:১৫ এএম says : 0
Valo laglo tanku
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন