বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪৭ পিএম | আপডেট : ৮:৪৭ পিএম, ৫ জুলাই, ২০১৯

দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (৫ জুলাই) দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন যে হচ্ছে, ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন হচ্ছে। এখনো পুরো ইউপি নির্বাচনে সিডিউল আসেনি। এর মধ্যে আমাদের কাছে বিভিন্নভাবে আমাদের নেতাকর্মীরা জানতে চাচ্ছেন যে, এখানে আমাদের অবস্থান কি হবে? ইতোপূর্বে দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করার প্রশ্ন এসেছিলো তখনই আমরা এর বিরোধিতা করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করাটা বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হবে না এবং এটা বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করবে রাজনীতির ক্ষেত্রে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে মার্কা ব্যবস্থা তুলে নেয়া উচিত। প্রকৃত পক্ষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্থানীয়দেরকে মার্কা ছাড়াই নির্বাচনের সুযোগ দেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বিএনপির যেসমস্ত নেতাকর্মী বা যারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন তারা যদি কেউ অংশ নিতে চান, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু মার্কা সেক্ষেত্রে আমরা বরাদ্ধ করবো না।

মদদদাতাদের আড়াল করতেই নয়ন বন্ডকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রিফাত হত্যার পর যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা বাংলাদেশের আইন-আদালত ও রাষ্ট্রের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করা হয়েছে। নয়ন বন্ড প্রধান আসামী তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আসল মদদদাতা যারা তাদেরকে আড়াল করা। তারা যেন আপনার আলোচনায় না আসতে পারে সেজন্য

এটা করা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি।এটা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

তিনি বলেন, এর আগে হাইকোর্টের একটা আদেশ ছিলো কোনো মতে বিচারবর্হিভূত হত্যা করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি, আইনের শাসন পরিপন্থি, সংবিধান পরিপন্থি। নয়ন বন্ড হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে এই দেশে এখন আইনের শাসন বলতে কিছু নাই। জনগনের বেঁচে থাকার যে অধিকারটুকু সেটাও এখন নেই্। কারণ তারা এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যেকোনো সময়ে যেকোনো ব্যক্তিকে হত্যা করার অধিকার তারা নিয়ে নিয়েছে। যেটা আমরা মনে করি একটা স্বাধীন দেশের জন্যে, আইনের শাসনের জন্যে পরিপন্থি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের যে কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করেছে, এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়ে এই নির্বাচন (একাদশ নির্বাচন) কতটা প্রহসন ছিলো। প্রায় ২১৩ কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগ ভোট পড়েছে, ১৫শ’ উপরে ভোট কেন্দ্রে শতকরা ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে। যেটা অসম্ভব ব্যাপার, যেটা বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সেটা কখনোই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে এই নির্বাচন কমিশন সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং এই নির্বাচনটাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।আমরা এ বিষয়ে তথ্য আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। অল্প দিনে মধ্যে আমরা আপনাদের সামনে আসবো।

পাবনার আদালতে রায়ের উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৪ বছর পরে নি¤œ আদালতে যে রায় দেয়া হয়েছে, এতে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ও বিক্ষুব্ধ হয়েছে। সভা মনে করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং পুরোপুরি প্রতিহিংসামূলক রায় হয়েছে এটা। যে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছিলো সেই ঘটনাতে গুলির আওয়াজ শুনা গিয়েছিলো কিন্তু কেউ হতাহত হয়নি। সেই গুলির আওয়াজ সম্পর্কেও একজন খুব পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন যিনি এর আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সাথে কাজ করেছিলেন রেন্টু তার ‘আমরা ফাঁসি চাই’ বইতে বলেছিলেন এটা একটা সাজানো ব্যাপার ছিলো, তৎকালীন আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা ছিলো।

বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক হয়। বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন