বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

মাসুদ করিমের ৮০০ গানের সংকলন

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

তন্দ্রা হারা নয়ন আমার, শক্র তুমি বন্ধু তুমি, সজনী গো ভালোবেসে এতো জ্বালা, চলে যায় যদি কেউ বাঁধন ছিঁড়ে, আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই, যখন থামবে কোলাহল, সন্ধ্যার ছায়া নামে, তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছো মানুষ কিনা, শিল্পী আমি শিল্পী তোমাদেরই গান শোনাব। মাসুদ করিমের লেখা এইসব গান এখনও সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে। কোনো কোনো চলচ্চিত্র তাঁর গানের জন্যই খ্যাতি পেয়েছে। তার গান গেয়েছেন দেশ-বিদেশের নামী-দামী সঙ্গীতশিল্পীরা। রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত গীতিকার মাসুদ করিম-এর লেখা আধুনিক, ছায়াছবি, দেত্ববোধক, পল্লীগীতি-সহ বাংলা গানের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে সহস্রাধিক গান। তাঁর লেখা সহ¯্রাধিক গানের মধ্য থেকে ৮০০ গান নিয়ে ‘৮০০ গানের সংকলন মাসুদ করিম’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ কারা হয়েছে। সম্পাদনা করেছেন তাঁরই সহধর্মিনী প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী দিলারা আলো। প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। গত ৪ জুলাই চ্যানেল আই ভবনে এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, গীতিকার ও সুরকার শেখ সাদী খান, ফুয়াদ নাসের বাবু, বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, নীলা বিল­াহ, দিলারা আলো, নাট্যব্যক্তিত্ব কেরামত মাওলা-সহ বিভিন্ন অঙ্গণের বিশিষ্টজনেরা। প্রখ্যাত গীতিকার মাসুদ করিম-এর জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালী। কুমারখালীর খ্যাতিমান পূর্বসূরিদের নামের সঙ্গে মাসুদ করিমের নামও যুক্ত। ছোটবেলা থেকে মাসুদ করিম ঢাকাতেই বড় হন এবং কবি ও গীতিকার রূপে প্রতিষ্ঠিত হন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পরে তিনি বেতারে প্রযোজক হিসেবে জীবনের কর্মক্ষেত্র শুরু করেন। মাসুদ করিম খুব অল্প সময়েই বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার রূপে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তিনি চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য দু’বার শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়ালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন