শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন

গুনী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্পিকার

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা গড়ার প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।গতকাল শনিবার ঢাকায় ইঞ্জিনির্য়াস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীন বাংলা মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় ফাউন্ডেশন আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দেশ বরেণ্য কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, শিল্পী ও গুণিজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

স্পিকার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির স‚র্য সন্তান, আর স্বাধীনতা বাঙলির জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক অছংলি হেলনে ৭ মার্চের ভাষণের পর ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা বোনের সমভ্রমের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার লাল স‚র্য ছিনিয়ে আনেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপসহীন নেতা। দীর্ঘ ২৩ বছর অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে বারংবার কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নির্বাসিত হয়েছেন, তবুও মাথা নত করেননি। জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিলেন বাংলার স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন বিশ্ব সেরা অনন্য সংবিধান। কারও দান কিংবা অনুকম্পা নয়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার এই স্বাধীনতা। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ম‚ল দর্শন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানও অনস্বীকার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে। স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নব প্রজন্মকে জানাতে হবে। তবেই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপস্থিতিতে যুগ যুগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাসের ধারণ ও লালন করে গৌরবময় স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখতে পারবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মিঞা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম, সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম, অধ্যাপক ড. ইনামুল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের কল্যাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন