বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে মারধরে ঘটনায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল (শুক্রবার) নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাঁশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও বাহারছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম এবং ওলামা লীগ সভাপতি মাওলানা আকতার হোসাইন। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন এমপি ও তার লোকজন। এমপি তাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন এবং তাকে বাঁশখালী ছেড়ে যেতে বাধ্য করেন। আহত অবস্থায় নির্বাচন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগরীতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি তার উপর হামলার ঘটনা বর্ননা করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার খোরশেদ আলম বিষয়টি তাৎক্ষণিক লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনে জানান। ওইদিন বিকেলেই কমিশনের জরুরি সভায় আজ শনিবার অনুষ্ঠেয় বাঁশখালীর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ওই সভায় নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে এমপি’র বিরুদ্ধে মামলারও সিদ্ধান্ত হয়। হামলার শিকার জাহিদুল ইসলাম জানান, সংসদ সদস্যের পিএস তাজুল ইসলাম তাকে একটি তালিকা দিয়ে সেই তালিকা অনুযায়ী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগের জন্য চাপ দেন। ওই তালিকা অনুযায়ী আমি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ না দেওয়ায় এমপি তার ওপর অসন্তুষ্ট হন।
ক্ষুদ্ধ এমপি তাকে ইউএনওর কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। তিনি সেখানে গেলে তিনি শুরুতেই উত্তেজিত হয়ে এমপি তাকে গালি দেন। এরপর তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে এমপি’র সাথে থাকা লোকজনও তাকে ব্যাপক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় সেখানে বাঁশখালী থানার একজন এসআই ছিলেন। তিনি কোন বাধা দেননি। জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি স্যারকে (আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা) ফোন করার জন্য পকেট থেকে মোবাইল বের করলে পুলিশ কর্মকর্তা সেটি আমার কাছ থেকে কেড়ে নেন। এমপি আমাকে মারার সময় ওই এসআই আমার দুই হাতে ধরে রাখেন যাতে এমপির মারতে সুবিধা হয়। পরে এমপি সাহেব আমাকে বাঁশখালী ছেড়ে না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন