শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পানিযুদ্ধ : নয়াদিল্লির ঘুম কেড়ে নিতে পারে চীন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদ চীনে ‘ইয়ারল্যাং জাঙবো’ নামে পরিচিত। ইয়ারল্যাং জাঙবো তিব্বতে বয়ে যায়। আর এই ইয়ারল্যাং জাঙবোতে আধুনিক পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়ে নদীর গতিপথ উত্তরে ঘোরাতে চায় চীন। ভারতকে নাকি এভাবেই চাপে রাখতে চায় চীন। এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে চীন কি নতুন করে চিন্তার কারণ হতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অবশ্যই, নরেন্দ্র মোদির চিন্তার কারণ হবে চীন। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চীনের বাড়তি লোভ নয়াদিল্লির ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আসুন জানি, ব্রহ্মপুত্র নদকে নিয়ে চীনের এত উৎসাহের আসল কারণ কী। জেনে রাখা দরকার ব্রহ্মপুত্রের পানি ব্যবহারে চীনের সঙ্গে ভারতের কোনো চুক্তি নেই। যেকারণে ভারত বিষয়টিতে লাল সঙ্কেত দেখছে। চীন মনে করে, ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধ দিয়ে নিজের দেশের জন্য পানি প্রকল্প তৈরি করলেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশ কব্জা করা যাবে। ভারত মনে করে বিতর্কিত তিব্বত মালভ‚মিতে চীনের প্রকল্প তৈরি হলে দেশের উত্তর-পূর্বে পানির যোগান কমবে। চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। তাহলে ভারত-চীনের পানিযুদ্ধ কি রক্তক্ষয়ী হাতিয়ার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে? উত্তেজনার আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৭ সালে একটি ভিন্ন ইস্যুকে নিয়ে ভুটানের ডোকলামে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মোদি সরকার চীনকে ছেড়ে কথা বলেনি। পরে অবশ্য সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় চীন।

চীন নাকি ভারতকে নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেয় না। নদের বহমানতা নিয়ে চীনের এই লুকোচুরির প্রধান কারণ অন্য। চীন ভালো করেই জানে ইয়ারল্যাং জাঙবো বা ব্রহ্মপুত্রের বহমানতার খবর ভারত পেয়ে গেলে উত্তর-প‚র্বে বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে বাংলাদেশও। ভারতকে এই সুবিধা দিতে চায়না চীন। বিশ্বের দরবারে চীন দেখাতে চায় যে ভারত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। এও শোনা যায়, চীন নাকি বাংলাদেশকে নদের বহমানতা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে দলে টানতে চায়। চীনকে ২০১৩ সালে সরকারিস্তরে তাদের জলবিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।

চীন নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্য ভারতে না দিতে চাইলেও, ২০০৮ এবং ২০১০ সালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলস্তর এবং বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে তথ্য দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চিনের লাল-হো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে জিয়াবকু নদীর উপর। সিকিমের কাছে ওই জায়গাটির নাম জিগেজ। ৭৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই জায়গা থেকেই চীন নেপালের দিকে রেলপথ নিয়ে যেতে চায়। ২০১০ সালে জাংমুতে ইয়ারল্যাং জাঙবো নদীর উপর প্রথম বাঁধ দিয়েছিল চীন। দাগু, জিয়াচা এবং জেইজুতে আরো তিনটি ছোট পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।

চীনের কথা ওঠলেই পাকিস্তানের নাম জড়াবেই। অনেক প্রতিবেদন বলছে, ইয়ারল্যাং জাঙবো-এর উপর চীন বাঁধ দিয়ে পানিপ্রকল্প শুরু করেছিল তখনই যখন ভারত সিন্ধু নদ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের থেকে প্রাপ্য পানি ছিনিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল। ভারতকে পালটা চাপে ফেলতে চীনের কাছে পাকিস্তান অনুরোধ করেছে। সেই কারণেই চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হয়।

বিশেষজ্ঞ থেকে গবেষক অনেকেরই মতে চীনের সঙ্গে ভারতে পানিযুদ্ধের তীক্ষ্ণতা বাড়বে। নয়াদিল্লি-বেইজিং, চিন্তায় থাকবে দুই শিবিরই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Sagor Mamun ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
তুমি যা করনা কেন তার ফল সামনে তোমার জন্যই অপেক্ষা করছে |
Total Reply(0)
M.A. Salam ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
যেমন কুকুর তেমন মুগুর। কথাটা অনেক প্রচলিত।।।।।।।। তিস্তার জল গুরানো হয়েছে। ।।।।। এখন বুজো।।।।।।। জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ি নদীর জল বহমান থাকবে। কেও তা বাদা দিতে পারবে না। অথচ ভারত তা দিয়েছে।।।।। বাংলাদেশ বন্দু দেশ তার পর ও।।।
Total Reply(0)
Ahm Mohobbt Khan ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 1
বিপদ শুধু ভারতের একার নয় বাংলাদেশের ও বটে। শেখ হাসিনার উচিত চীনের প্রতি আহ্বান জানানো শান্তিপূর্ণ ভাবে এর সমাধান করা।
Total Reply(0)
Motiur Rahman ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 1
এই বাঁধ হলে বাংলাদেশ মহাবিপদে পড়বে কারণ আমরা ভাটির দেশ, তাই আমাদেরও ভারতের সাথে একতাবদ্ধভাবে হয়ে প্রতিবাদ করা উচিৎ।
Total Reply(0)
Tushar Mondal ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 1
ভারতের উচিৎ সমস্ত চাইনা দ্রব্য বর্জন করা।তবে চাইনার চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
Shahadat Hossain ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
বাংলাদেশের টেনশনের কোন কারন নেই। কারন বাংলাদেশ পানি পায়না।ভারত যেটি বাধ দিয়ে পত্যাহার করে নিয়েছে সেটি এখন চিন নিয়ে যাবে। আর ভারত জাতিসংঘে কোন নালিশ ও করতে পারবে না। কারন তারা বাংলাদেশের পানি আগে বাধদিয়ে পত্যাহার করে নিয়েছে।
Total Reply(0)
Ash ৭ জুলাই, ২০১৯, ৪:৫৬ এএম says : 0
ভারত আমাদের পানি ডাকাতি করে নিয়ে যায়, আর তাদের কাছ থেকে চীন নিয়ে যাবে হে: হে: আমাদের তাতে কোনই আপত্তি নাই! আর ভারত ও কিছুই করতে পারবেনা। খালি ভারতের চামুন্ডা কতগুলি আমাদের দেশে হই হই করবে খামাখা।
Total Reply(0)
ash ৭ জুলাই, ২০১৯, ৫:৩৬ এএম says : 0
GOOD ! I LIKE CHINA IDEA, WHO CARES , BANGLADESH TO EMNITEI PANI PAY NA !! ODIK E ABAR ASAMER MUSLIM DER BANGLADESH E THELE PATHANOR MOTLOB KORCHE ............ ......... VAROT, BANGLADESH ER WICHITH CHINAR DIKE ARO BONDHUTTER HAT PROSHAR KORA
Total Reply(0)
Nannu chowhan ৭ জুলাই, ২০১৯, ৯:৫৫ এএম says : 0
Le baba,Bangladeshke panir naijjo hisha theke botshorer por botshor bonchito kore ashse, chukti koreo chukti vongo korse varot, eakhon chiner kaseo nijeder panir odhikar theke bonchito hochse.Porer jonno mrittu koop khurle nijei porte hoy shei koope....
Total Reply(0)
N N Chowdhury ১৩ জুলাই, ২০১৯, ৭:২৩ এএম says : 0
ভারত হলো গাদ্দার, ভারত কথা দিয়ে কথা রাখেনা তাই তাদের পাশে গিয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র তাই এদেশের প্রতি আল্লাহ পাকের রহমত সব সময় থাকবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন