একটি গণতান্ত্রিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য। দেশের বাণিজ্য আইন এবং সবশেষ উন্নয়ন সম্পর্কে আইনজীবী এবং বিচারকদের ওয়াকিবহাল থাকা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের সূচক অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থানের ১৯০টির মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ তম। এ বাস্তবতায় বাণিজ্যিক উন্নয়নে খুব শিঘ্রই ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা দরকার। এ মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্ট জাজেস কমপ্লেক্সে ‘সুপ্রিমকোর্ট স্পেশাল কমিটি’ এবং ‘ইউএনডিপি বাংলাদেশ’ যৌথ উদ্যোগে ‘বাণিজ্য আইন চর্চা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। প্রধান বিচারপতি এত প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। সেমিনারে ‘সুপ্রিমকোর্ট বিশেষ কমিটি’র চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী সভাপতিত্ব করেন। এতে ইউএনডিপি বাংলাদেশ’র আবাসিক প্রতিনিধি সন্দীপ মুখার্জীও বক্তৃতা করেন।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বাণিজ্যিক আইন প্রণয়ন ও আনুষ্ঠানিক বিচারব্যবস্থা বা সালিশের মাধ্যমে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা জরুরি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সালিশ ব্যবসা ও অর্থনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্যিক বিরোধগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সালিশের বিষয়ে আইনের আধুনিকীকরণ এবং হালনাগাদ করার দাবি সব সময়ই ছিলো। বাংলাদেশ ১৯৪০ সালের পুরনো সালিশ আইন বাতিল করে নতুন সালিশ আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু চর্চার প্রশ্নে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। আজকের সেমিনার বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সালিশ, চুক্তি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে সহজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, আরবিট্রেশন প্রক্রিয়ায় আইনি কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব। আদালতের দ্বারস্থ না হয়েও বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব। এটি স্থানীয় ও আন্তজার্তিক উভয়ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন