শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

গ্রামে ঋণের উৎস এনজিও

‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। ফলে সেখানকার মানুষের ঋণের অন্যতম উৎস এনজিও। পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮’-এ উঠে এসেছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগাঁরগাও-এ পরিসংখ্যান ভবনে প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও সেগুলো জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি। ফলে গ্রামে এনজিওর প্রাধান্য বিদ্যমান। অধিকাংশ মানুষই ফসল উৎপাদনের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ লোক এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে ২৬ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, মহাজনদের কাছ থেকে তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছ নিচ্ছে তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ। এ ঋণ নেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ফসল আবাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লী এলাকার মানুষদের ৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ ঋণ নেয় ফসল আবাদের জন্য। এছাড়া পশুপালনের জন্য আট দশমিক ৫৪ শতাংশ, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চিকিৎসার জন্য চার দশমিক ৯৪ শতাংশ, শিক্ষার জন্য দুই দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিবাহের জন্য চার দশমিক ১১ শতাংশ এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ নেয় পাঁচ দশমিক ৪৬ শতাংশ মানুষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পল্লী এলাকার এক একটি পরিবার বার্ষিক আয় করে দই লাখ দুই হাজার ৭২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে আসে ৭৭ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং অকৃষিখাত থেকে আসে এক লাখ ২৫ হাজার ২৬৭ টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন