ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকটের ইতিবাচক সমাধান হতে যাচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার সাথে অনুষ্ঠিত ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের আলোচনা সমন্বয় করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এ লক্ষ্যে আজ সোমবার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সাথে সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে গঠিত সার্চ কমিটির বৈঠক হবে। তবে এক্ষেত্রে ২০০০ সালের এসএসসি ধরে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে দলের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আর বিক্ষুব্ধদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের কাউন্সিলের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে ১৫ জুলাইয়ের কাউন্সিলের তারিখও পেছানো হবে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সার্চ কমিটির সাথে বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে সংযুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। বৈঠকে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ১২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টিতে ইতিবাচক নির্দেশনা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ছাত্রদলের সংকট নিরসনে গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দায়িত্ব দেন তারেক রহমান। পরে তাদের সাথে দলের যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকেও যুক্ত করা হয়। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের সাথে বৈঠকে বসেন। সেখানে সংকট নিরসনে সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে তাদের দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় বিক্ষুব্ধরা। যারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচনের তফসিল ঠিক রেখে কাউন্সিলের কার্যক্রম শেষ করবে। এক্ষেত্রে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের মধ্যে যারা বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে আছেন (রাজীব আহসান, মামুনুর রশিদ মামুন ও আকরামুল হাসান) তাদের কমিটিতে রাখা হবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিক্ষুব্ধদের সেই প্রস্তাবনা তারেক রহমানের কাছে পাঠিয়ে দেন। তবে এক্ষেত্রে বিএনপি ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করার বিকল্প প্রস্তাবও বিবেচনায় রাখে। এমন প্রেক্ষাপটে সার্চ কমিটির সাথে তারেক রহমানের এই বৈঠক হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন