বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, পুরনো মামলার সঙ্গে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে নতুন একলাখ মামলা। নতুন করে গায়েবি মামলা বলে এক অদ্ভুত মামলা শুরু হয়েছে নির্বাচনের আগে আগে। ১/১১ সরকারের সময় মামলা হয়েছে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো তুলে নিয়েছে। আর বিএনপির বিরুদ্ধে লক্ষ গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্ব বিষয়ে স্পিকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে তিনি একথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, যে মামলায় মৃত ব্যক্তি, পঙ্গু ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তি, ঘটনা ঘটবার আগেই মামলা- এ ধরনের অদ্ভুত সব মামলা করা হয়েছে গায়েবি মামলার অধীনে। আইনের শাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছিলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করার পর এখন হাত বাড়িয়েছে উচ্চ আদালতের দিকে।
বিএনপির এমপি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের কারণে সিনহাকে বিদেশ যেতে হয়েছে। সেই রায়ে তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ কোনো রকম নাক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরও বলেছিলেন, আমিত্বের দম্ভের কথা। তারেক রহমানকে যে নিম্ন আদালত খালাস দিয়েছিলেন। সে বিচারককে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে নিম্ন আদালত এখনো কার্যত সরকারের অধীনে রয়ে গেছে। সেপারেশন অব পাওয়ার বাংলাদেশে এক কেতাবি কথা। অনেক সোনার পাথর বাটির মতো। রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ যদি স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে না পারে। তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য সমূহ বিপদ তৈরি করে।
রুমিন ফারহানা বলেন, মিথ্যা, ষড়যন্ত্রম‚লক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান, জেন্ডার- যে কোনো বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জামিন তার অধিকার। তিনি যাতে সহজে মুক্তি না পান, তাই একটির পর একটি নতুন নতুন মিথ্যা মামলা সামনে আনা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন