বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

নেইমার ছাড়াই কোপায় ব্রাজিলরাজ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আসর শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে নেইমারের ইনজুরি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল ব্রাজিল শিবিরে। সঙ্গে স্বাগতিক হিসেবে বাড়তি চাপ তো ছিলই। কিন্তু এসব পাশ কাটিয়ে প্রতাপের সঙ্গেই কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নিয়েছে ব্রাজিল। আসরের শুরুতে ছন্দহীন থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেলেসাওদের খেলায় উন্নতির ছাপ ছিল চোখে পড়ার মত।

অনুশীলন ম্যাচে গোঁড়ালির ইনজুরি নেইমারকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানীর কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার সেই তিক্ত স্মৃতি যেন আবারো ব্রাজিল শিবিরে ফিরে আসে। ঐ আসরেও আগের ম্যাচে ইনজুরি পুরো টুর্নামেন্ট থেকে নেইমারকে ছিটকে দিয়েছিল।

একই সঙ্গে ব্রাজিলের সামনে তৈরি হয় ‘নেইমার-নির্ভরশীলতা’ তকমা কাটানোর। গ্রæপ পর্বে ভেনেজুয়েলার সাথে গোলশুন্য ড্র কিছুটা হলেও নেইমারের অনুপস্থিতি অনুভূত হয়েছিল। তবে টুর্নামেন্টের সময় যত গড়িয়েছে ব্রাজিল ততই পরিণত পারফরমেন্স উপহার দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বুঝিয়েছে ব্রাজিল নেইমারকে ছাড়াও সেরা দল।

মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার পেরুকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ১২ বছর পর বড় কোন শিরোপা তুলে ধরার কৃতিত্ব অর্জন করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আর এই সাফল্যে শেষ পর্যন্ত নেইমারকে নিয়ে কোনো আলোচনাই ছিল না। শুধুমাত্র শিরোপা নয়, পুরো টুর্নামেন্টে ব্রাজিল ব্যক্তিগত সাফল্যেও নিজেদের সেরা প্রমাণ করেছে। টুর্নামেন্টে সেরা আক্রমনভাগ, সেরা রক্ষনভাগ, শীর্ষ খেলোয়াড় আলভেস, সর্বোচ্চ গোলদাতা এভারটন, সেরা গোলরক্ষক আলিসন-এসবই একটি দলকে প্রমাণের জন্য যথেষ্ঠ। আর এসব আলোচনায় উঠে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই নেইমার ইস্যু চাপা পড়ে গেছে।

লিভারপুল তারকা আলিসন অবশ্য বলেছেন, ‘নেইমারকে ছাড়া সবকিছুই কঠিন ছিল। কারণ সে অসাধারণ প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড় এবং দলের জন্য অনেক কিছু। তবে পুরো দলের শক্তি প্রমাণ করাটাও জরুরী ছিল। অনেক সময় সব দৃষ্টি নেইমারই কেড়ে নেয়, আর সে কারনে আমরা পিছিয়ে পড়ি। তবে আমরা সবাই তাকে ভালবাসি।’

নেইমারের অনুপস্থিতিতে বিশেষ করে দু’জন খেলোয়াড়ের নিজেদের প্রমাণের বিষয়টি সামনে চলে আসে। মে মাসে নেইমারের পরিবর্তে আলভেসকে যখন অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তখন থেকেই তার উপর বাড়তি চাপ আসে। আলভেস পুরো টুর্নামেন্টে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে প্রথম গোলটি তার অসাধারন সহযোগিতায় এসেছিল। আরেকজন খেলোয়াড় হচ্ছেন এভারটন। সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে কোপা শেষ করে তিনি ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নেইমার দলে থাকলে হয়ত এভারটনের মূল একাদশে খেলার অপেক্ষাটা আরো দীর্ঘায়িত হতো। ২৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গারকে দলে নিতে ইতোমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও পিএসজি।

আর এত কিছু যার হাত দিয়ে হয়েছে সেই কোচ তিতের অবদানটাও কিন্তু হেলাফেলা নয়। আসলে আলভেস-এভারটনদের মত তিতেরও এখানে প্রমাণের অনেক কিছুই ছিল। এবং সেই পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাশ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন